মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গত ৫ বছরে, অর্থাৎ ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সশরীরে নানা আন্দোলনে অংশ নিয়ে ও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্যের (স্ট্যাটাস, কমেন্ট) জেরে এক হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন।
তবে চলতি বছরের প্রথম চার মাসের তথ্য অনুযায়ী, শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ হওয়ার শঙ্কা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ফাউন্ডেশন ফর ইন্ডিভিজ্যুয়াল রাইটস অ্যান্ড এক্সপ্রেশন (এফআইআরই) এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবচেয়ে গুরুতর শাস্তির মধ্যে ৩০০ জন শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব মুলতবি, ৭২ জনকে বহিষ্কার এবং ৫৫ জনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সুবিধাদি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
এফআইআরই জানায়, ২০২৫ সালের প্রথম চার মাসের তথ্য অনুযায়ী, শাস্তিপ্রাপ্ত ছাত্রদের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ হওয়ার পথে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত সময়গুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্যের ওপর শাস্তির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২০ সালে জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ডের পর বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হামলা ও গাজা যুদ্ধ বিশেষ করে ফিলিস্তিনপন্থী বক্তব্যের কারণে শিক্ষার্থীদের শাস্তি দেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও রাজনীতিবিদরা প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন।
এফআইআরই বলছে, এমন নীতি এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবর্তিত হয়েছে যা পরিবেশ, বর্ণবৈষম্য বা অন্য যে কোনো বিষয় নিয়ে সমালোচনামূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হতে পারে।
এমন পরিস্থিতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকারকে হুমকির মুখে ফেলছে।
এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এফআইআরই এর পরিচালক লোগান ডগার্টি বলেন, ‘মুক্ত চিন্তা ও মুক্ত বিতর্কই ক্যাম্পাসের আদর্শ হওয়া উচিত।
কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি যে তা অনেক সময় বাস্তবে প্রতিফলিত হচ্ছে না।’
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় এফআইআরই নিয়মিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
যাতে শিক্ষার্থীরা নিঃসংকোচে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে।