শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

মেঘনায় ইলিশের আকাল জাটকার কেজি ৮০০

যাযাদি ডেস্ক
  ০৫ মে ২০২৪, ০০:০০
মেঘনায় ইলিশের আকাল জাটকার কেজি ৮০০

দীর্ঘ দুই মাস লক্ষ্ণীপুরের মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরা বন্ধ ছিল। পহেলা মে থেকে নদীতে ইলিশ শিকারে নামেন জেলেরা।

কিন্তু জেলেদের জালে আশানুরূপ ইলিশ ধরা পড়ছে না। তাই হাটে-বাজারেও তেমন একটা ইলিশ উঠছে না। অল্প পরিমাণে ইলিশের দেখা মিললেও দাম একেবারেই চড়া। ফলে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে রুপালি ইলিশ।

শনিবার রাতে জেলা শহরের দক্ষিণ তেমুহনী মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে অল্প কিছু পরিমাণে ইলিশ রয়েছে, যা উচ্চমূল্য হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা।

২০০ গ্রাম ওজনের জাটকা ইলিশের কেজি হাঁকাচ্ছেন ৮০০ টাকা করে। ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১২০০ টাকা কেজি, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ২ হাজার থেকে ২২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ইলিশ কিনতে আসা নাজিম উদ্দিন বলেন, ইলিশের অনেক দাম, তাই কেনা সম্ভব নয়। আরেকজন ক্রেতা ডালিম কুমার বলেন, নদীতে অভিযান সবেমাত্র শেষ হলো। বাজারে মাছও কম, তাই উচ্চমূল্য হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা।

ইলিশ বিক্রেতা মো. মিলন বলেন, কমলনগরের একটি মাছঘাট থেকে মাছ কিনে এনে বাজারে বিক্রি করি। মাছ ধরা শুরু হলেও ঘাটে মাছের পরিমাণ একেবারে কম। নদী থেকে বেশির ভাগ জেলেরা খালি হাতে ফিরে আসছেন। কোনো কোনো জেলে দুই বা তিনটা মাছ ধরতে পারছেন। মাছ ধরা না পড়ায় ঘাটেই দাম বেশি। তাই আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

আরেকজন বিক্রেতা রহমান বলেন, জেলেদের জালে মাছ ধরা না পড়ায় বাজারে মাছ নেই। তাই দাম বেশি।

লক্ষ্ণীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিলস্নাল হোসেন বলেন, এখনো ইলিশের মৌসুম শুরু হয়নি। সাধারণত আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাস হলো ইলিশের মৌসুম। তবে সারা বছরই কম-বেশি ইলিশ পাওয়া যায়। কিন্তু বর্তমান সময়টাতে কোনো বৃষ্টিপাত নেই। ফলে নদীতে নাব্য সংকট। তাই এ সময়টাতে নদীতে ইলিশ পাচ্ছেন না জেলেরা। বর্ষা শুরু হলে এবং নদীতে পানির গভীরতা বাড়লে বেশি মাছ ধরা পড়তে পারে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে