সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত আব্দুল আলিম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় চাঁন মিয়া, হাজী আবুল হোসেন ও রাসেল নামে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার ভোর ৩টায় ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃতু্য হয়। নিহত আব্দুল আলিম (৫০) কামারপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার হায়দার আলীর ছেলে।
জানা গেছে, ৮ মে রাতে ফলাফল ঘোষণার আগে মোটরসাইকেল প্রতীক সমথর্ক আব্দুল আলীমকে কামারপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে দোয়াত-কলমের সমর্থকরা। গুরুতর অবস্থায় আব্দুল আলীমকে প্রথমে বেলকুচি স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে পরে এনায়েতপুর খাজা ইউনুছ আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সোমবার ভোর ৩টার দিকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিহতের চাচাত ভাই আব্দুল খালেক জানান, 'আব্দুল আলীম মোটর সাইকেল প্রতীকের নির্বাচন করত। আরেক চাচাত ভাই চাঁন মিয়া করত দোয়াত-কলম প্রতীকের নির্বাচন। নির্বাচনে প্রতিযোগিতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু নির্বাচনে যে প্রতিহিংসার জন্য আপন চাচাত ভাইকে এমনভাবে মারধর করে মেরে ফেলবে কে জানত। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।'
মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকির বলেন, 'নিহত আব্দুল আলীম সম্পর্কে আমার চাচা। নির্বাচনের আগে থানা চত্বরে দোয়াত-কলমের প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার পুলিশের সামনে ঘোষণা দিয়েছিল, আমার রক্ত নিয়ে হোলি খেলবে। সেটা করতে না পেরে আজ আমার কর্মীদের রক্ত নিয়ে হোলি খেলছে।'
এ হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর রাতে কামারপাড়া এলাকায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। মারধরে আহত আব্দুল আলিম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।