চীনে তিন দিনের দ্বিপক্ষীয় সফরের বিস্তারিত তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর পরবর্তী প্রেস কনফারেন্স রোববার বিকাল ৪টায় গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।'
প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত সফরের দুই সপ্তাহ পর চীনের প্রধানমন্ত্রীর লি চিয়াংয়ের আমন্ত্রণে সোমবার বিকালে বেইজিংয়ে যান শেখ হাসিনা।
চীনে এটি তার চতুর্থ সফর; এর আগে ২০১০, ২০১৪ ও ২০১৯ সালে দেশটিতে সফর করেন তিনি। এবার চার দিনের সফর শেষ করে বৃহস্পতিবার তার দেশে ফেরার কথা থাকলেও এক দিন আগে বুধবার ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।
বেইজিংয়ে এই তিন দিনে ব্যস্ত সময় পার করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি চিংয়াং এর সঙ্গে বৈঠকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এই সফরে দুই দেশের মধ্যে ২১টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয় এবং সাতটি প্রকল্পের ঘোষণা আসে।
সফরের শেষ দিন সকালে গ্রেট হল অব দ্য পিপলে পৌঁছালে শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সকালে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এদিন সাং-গ্রি-লা সার্কেলে বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দেন শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য চীনা ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।
চায়নিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসাল্টেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) চতুর্দশ জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হুনিংয়ের সঙ্গেও শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়।
মঙ্গলবার বিকালে ঐতিহ্যবাহী তিয়েনআনমেন স্কয়ারে চীনের বিপস্নবী বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। রাতে বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেন।
বুধবার সকালে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলসহ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক ও দলিল সই করেন।
শেখ হাসিনা সব সময় বিদেশ সফরে গেলে বিস্তারিত জানাতে সংবাদ সম্মেলনে আসেন। এতে সফর নিয়ে একটি লিখিত বিবৃতি ছাড়াও প্রশ্ন করার সুযোগ পান গণমাধ্যমকর্মীরা।