চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌপথ খনন এবং টার্মিনালসহ অনুষঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণের পূর্ত কাজের জন্য নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের দুটি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ২৬৩ কোটি ২৫ লাখ ৯১ হাজার ৪৪২ টাকা।
বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, 'বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ প্রকল্প-১ (চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌপথ খনন এবং টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ)' প্রকল্পের প্যাকেজ নং-ডবিস্নউ৫বি-এর পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
প্রকল্পের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। দুটি প্রস্তাবই কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি'র সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এমএল এবং টিবিএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৫০ কোটি ৯৮ লাখ ৬২ হাজার ৬৬৯ টাকা।
বৈঠকে 'বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ প্রকল্প-১ (চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌপথ খনন এবং টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ)' প্রকল্পের প্যাকেজ নং-ডবিস্নউ৫সি-এর পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
এ প্রকল্পের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। পাঁচটি প্রস্তাবই কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি'র সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে শেলটেক, বঙ্গ এবং নিয়াজ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১১২ কোটি ২৭ লাখ ২৮ হাজার ৭৭৩ টাকা।
১ লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল ও গম কিনবে সরকার
সিঙ্গাপুর ও ভারত থেকে এক লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল ও গম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৪৬৭ কোটি দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল এ ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম রয়েছে।
বৈঠক শেষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা নিশ্চিত করেছি, চাল ও গমসহ অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, যেমন রোজার জন্য ডাল ও খেজুরের জন্য বরাদ্দের সমস্যা হবে না। কোনো ব্যাপারেই যেন ভোগ্যপণ্য বা ভুক্তাদের কোনো ধরনের সমস্যা না হয়। আসন্ন রোজায় যেন পণ্যের দাম না বাড়ে সে কারণে দ্রম্নতই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম ছোলা, ডাল, চিনির তেল এবং খেজুর যেন দেশে ঠিক সময় আমদানি হয়।
উপদেষ্টা বলেন, এখন খাদ্যদ্রব্য মনিটরিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা বলেছি, কোন কোন পণ্যের মজুদ কি অবস্থায় আছে, কি কি আমদানি করতে হবে, সেগুলো বিষয়ে কাজ করতে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি বাড়াতে বলে দিয়েছি। তারা দ্রম্নত পণ্য আনতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা চাল-গমের বিষয়ে যতটুকু মজুদ আছে, যতটুকু আমদানি দরকার, তার চেয়ে কিছুটা বেশি আমদানি ও সংগ্রহ করতে নির্দেশনা দিয়েছি। প্রয়োজন যদি এক্স হয়, তবে টার্গেট এক্স পস্নাস ওয়ান করতে বলেছি।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের অ্যাগ্রোকর্প ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লিমিটেডের কাছ থেকে প্যাকেজ-১ এর আওতায় ৫০ হাজার টন গম ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১৮০ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রতি টন গমের দাম পড়বে ৩০১ দশমিক ৩৮ মার্কিন ডলার।
এ ছাড়া চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারতের ভেলপুর পট্টাভী অ্যাগ্রো ফুডস প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে প্যাকেজ-১ এর আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতী সিদ্ধ চাল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ২৮৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম পড়বে ৪৭৭ মার্কিন ডলার।
কাতার থেকে আসবে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া
এদিকে চলতি অর্থবছরের জন্য কাতার থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪০ কোটি ২৮ লাখ ১২ হাজার টাকা।
বৈঠক শেষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমারা নিশ্চিত করেছি, চাল-গমসহ অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, যেমন রোজার জন্য ডাল ও খেজুরের জন্য বরাদ্দের সমস্যা হবে না। কোনো ব্যাপারেই যেন ভোগ্যপণ্য বা ভোক্তাদের কোনো সমস্যা না হয়। আসন্ন রোজায় যেন পণ্যের দাম না বাড়ে সে কারণে দ্রম্নতই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম ছোলা, ডাল, চিনির তেল এবং খেজুর যেন দেশে ঠিক সময় আমদানি হয়।
উপদেষ্টা বলেন, এখন খাদ্যদ্রব্য মনিটরিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা বলেছি, কোন কোন পণ্যের মজুদ কি অবস্থায় আছে, কী কী আমদানি করতে হবে, সে বিষয়ে কাজ করতে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি বাড়াতে বলে দিয়েছি। তারা দ্রম্নত পণ্য আনতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা চাল-গমের বিষয়ে যতটুকু মজুদ আছে, যতটুকু আমদানি দরকার, তার চেয়ে কিছুটা বেশি আমদানি ও সংগ্রহ করতে নির্দেশনা দিয়েছি।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কাতারের মুনতাজাত থেকে ৪র্থ লটের ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড প্রিন্ড ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪০ কোটি ২৮ লাখ ১২ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৩৮৯.৬৭ মার্কিন ডলার।
টিসিবির জন্য কেনা হবে ৫ হাজার টন চিনি
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন চিনি কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৬০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
প্রতি কেজি চিনির মূল্য ধরা হয়েছে ১২০ টাকা ৯০ পয়সা। বৈঠকে দেশীয় প্রতিষ্ঠান সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে এ চিনি কিনতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে টিসিবির এক লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন চিনি কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে মোট চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সমগ্র বাংলাদেশে (সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাসহ) টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী প্রায় এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে প্রতি মাসে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন চিনি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভা গত ২২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি রেসপনসিভ সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড টিসিবির গুদামসমূহে পরিবহণ খরচসহ প্রতি কেজি ১২০ টাকা ৯০ পয়সা উলেস্নখ করে। সে হিসেবে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন চিনি ক্রয়ে ব্যয় হবে ৬০ কোটি ৪৫ হাজার টাকা।
৫০ কেজির বস্তায় প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ হাজার মেট্রিক টন চিনি সরবরাহ করবে বলে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি সুপারিশ করে। প্রতি কেজি চিনির দাপ্তরিক মূল্য ১২৩ টাকা ৮৭ পয়সা সে হিসেবে রেসপনসিভ দরদাতা ১২০ টাকা ৯০ পয়সা দর উলেস্নখ করায় দাপ্তরিক মূল্যের চেয়ে দুই টাকা ৯৭ পয়সা কমে এ চিনি পাওয়া যাবে বলে মূল্যায়ন কমিটি তাদের মতামত দেয়।
সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে সার্বিক বিষয় আলোচনা হয় এবং কমিটি সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে পাঁচ হাজার টন চিনি কেনার অনুমোদন দিয়েছে।
সিঙ্গাপুর-সুইজারল্যান্ড থেকে কিনবে দুই কার্গো এলএনজি
এদিকে, জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে সিঙ্গাপুর ও সুইজারল্যান্ড থেকে দুই কার্গো তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ২৫৪ কোটি ৩২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৬৪ টাকা। বৈঠকে এ সংক্রান্ত দুটি পৃথক প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে 'পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮' অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে (২৩-২৪ নভেম্বর ২০২৪ সময়ে ৩৩তম) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
পেট্রোবাংলা থেকে ১ কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য এমএসপিএ স্বাক্ষরকারী ২৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। ৩টি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশের প্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সুইজারল্যান্ডের মেসার্স টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড এক কার্গো এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক কার্গো বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৬১৮ কোটি ৮৯ লাখ ৩ হাজার ৮৮৪ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজি'র জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩.১১৯২ মার্কিন ডলার।
এ ছাড়া জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের আরেক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে 'পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮' অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে (৪-৫ ডিসেম্বর ২০২৪ সময়ে ৩৪তম) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। পেট্রোবাংলা থেকে এই ১ কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য এমএসপিএ স্বাক্ষরকারী ২৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। ৩টি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে দরপ্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুর ভিত্তিক মেসার্স গানভোর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ৬৩৫ কোটি ৪৩ লাখ ৯১ হাজার ৬৮০ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজি'র মূল্য ধরা হয়েছে ১৩.৪৭ মার্কিন ডলার।
এদিকে গত ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই দুই কার্গো এলএনজি আমদানির ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৩৫৫ কোটি ৮৯ লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে এক কার্গো এলএনজি আমদানির ব্যয় ধরা হয় ৬৮৬ কোটি ৩৮ লাখ ৭৫ হাজার ২০০ টাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতি এমএমবিটিইউ'র মূল্য ধরা হয় ১৪.৫৫ মার্কিন ডলার। আর এক কার্গো এলএনজি আমদানির ব্যয় ধরা হয় ৬৬৯ কোটি ৫০ লাখ ৭৯ হাজার ৩০০ টাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতি এমএমবিটিইউ'র মূল্য ধরা হয় ১৪.৬৫ মার্কিন ডলার।
এ হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে দামে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে, তার তুলনায় এবার সিঙ্গাপুর ও সুইজারল্যান্ড থেকে কম মূল্যে এলএনজি আমদানি করছে সরকার।