মাদারীপুরের কালকিনিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য আক্তার শিকদার ও তার ছেলে মারুফ শিকদারকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের লোকজনের বিরুদ্ধে। এছাড়াও একই ঘটনায় আক্তার মেম্বারের অনুসারী সিরাজ চৌকিদার নিহত হয়েছেন। এসময় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০-৩০ আহত হন।
শুক্রবার ভোরে কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র?্যাব ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এলাকায় এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
নিহত আক্তার শিকদার মতি শিকদারের ছেলে ও বাশগাড়ি ইউনিয়ন ইউপি সদস্য। আর নিহত সিরাজ চৌকিদার একই এলাকার রশিদ চৌকিদারের ছেলে।
স্থানীয় ও প্রশাসনের সূত্র জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে একই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আক্তার শিকদারের সাথে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। তারই জের ধরে শুক্রবার ভোররাতে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে ঘটনাস্থলে একাধিক কক?টেলের বিস্ফোরণ হয়। এতে ইউপি সদস্য আক্তার শিকদার ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
পরে গুরুতর অবস্থায় তার ছেলে মারুফ শিকদারকে শরীয়তপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে সকালে তার মৃতু্য হয়। আর তার সমর্থক সিরাজুল চৌকিদারকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা নেওয়ার পথে সকালে মৃতু্য হয়।
এদিকে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২০-৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিহত আক্তার মেম্বার এবং ইউপি চেয়ারম্যান সুমনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ও রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছিলো। এই বিরোধের ধরে সকালে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে আক্তার মেম্বার তার ছেলেসহ তিনজন নিহত হন।