শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
সাক্ষাৎকার

ফুটবলারদের কল্যাণেই তৃতীয় বিভাগ ফুটবল রাখা উচিত -কামরুল হাসান পিন্টু

'ওয়ান টিম, ওয়ান ড্রিম' এমন সেস্নাগান নিয়েই ২০১৫ সাল থেকে যাত্রা শুরু করেছিল কিংস্টার স্পোর্টিং ক্লাব। ২০১৭ সালে পাইওনিয়র ফুটবল লিগের চ্যাম্পিয়ন হওয়া ক্লাবটি এবার তৃতীয় বিভাগ ফুটবলে রানার্সআপ হয়েছে। এই দুই লিগে ৩৪ ম্যাচের একটিতেও হার না মেনে অপরাজিত থাকার গৌরব অর্জন করে ক্লাবটি। ক্লাবের পক্ষ থেকে দেশের ফুটবলের উন্নয়নে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পদক্ষেপ, আছে নানা পরিকল্পনাও। দৈনিক যায়যায়দিনের সঙ্গে একান্ত আলাপনে তৃণমূল ফুটবলের বিভিন্ন সমস্যা, ক্লাবের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন কিংস্টার ক্লাবের সভাপতি কামরুল হাসান পিন্টু। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিবেদক মাহবুবুর রহমান
নতুনধারা
  ১৯ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০
ফুটবলারদের কল্যাণেই তৃতীয় বিভাগ ফুটবল রাখা উচিত -কামরুল হাসান পিন্টু

যায়যায়দিন : কবে থেকে কোন টুর্নামেন্ট দিয়ে যাত্রা শুরু হয় কিংস্টারের?

পিন্টু : ২০১৫ সালে ক্লাবের যাত্রা শুরু হয়। ২০১৬-তে আমরা পাইওনিয়র ফুটবল লিগে অংশগ্রহণ করি। ২০১৭-তে পাইওনিয়রে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হই। সেখানে আমরা মোট ৯৪টি গোল করি। আমাদের একজন ফুটবলার ৫২টি গোল করেছিল। তার নাম মিরাজ। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো আমাদের ফেডারেশন কোনো রেকর্ড রাখে না। লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা কে হলো, কোন ক্লাব কী রেকর্ড করল- এগুলোর রেকর্ড নেই। আমাদের নিজেদের ফেসবুক পেজ আছে। ওয়েবসাইটও তৈরি হচ্ছে। সেখানে সব রেকর্ড রাখা হবে।

যাযাদি : ক্লাবের জন্য ফুটবলার কীভাবে সংগ্রহ করে থাকেন?

পিন্টু : এবার আমরা ২৬টি জেলা থেকে ৩০ জন ফুটবলার এনেছি। ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরে ট্রায়াল হয়েছিল। আমাদের বেশির ভাগ ফুটবলারই গরিব, তৃণমূল থেকে আসে। এবার আমাদের দল থেকে আবাহনী-মোহামেডানের মতো ক্লাবের বয়সভিত্তিক দলে বেশ ক'জন ফুটবলারকে নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করছে। মিরাজ, নিহাত জামান উচ্ছ্বাসের (অনূর্ধ্ব ২৩ দল) মতো অনেক ফুটবলার আমাদের ক্লাব থেকেই বের হয়েছে।

যাযাদি : আমাদের দেশে ক্লাবগুলো ফুটবলার তৈরি করলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ফুটবলার বিক্রি করার কোনো সুবিধা পায় না। আমাদের দেশে এমন ব্যবস্থা কি চালু হওয়া উচিত?

পিন্টু : অবশ্যই হওয়া উচিত। আমরা অনেক কষ্ট করে তৃণমূল থেকে ফুটবলারদের তুলে আনি। তাদের পেছনে আমাদের অনেক ইনভেস্টমেন্ট, শ্রম থাকে। কিন্তু পরবর্তীতে সেই ফুটবলাররা অনেক ভালো ভালো ক্লাবে চলে যায়। তাতে ফুটবলাররা লাভবান হন। কিন্তু যেই ক্লাব এত কষ্ট করে তাদের তৈরি করে সেই ক্লাব কিন্তু লাভবান হচ্ছে না।

যাযাদি : তৃতীয় বিভাগ ফুটবল আর না রাখার চিন্তা-ভাবনা করছে বাফুফে। দেশের ফুটবলে এর প্রভাব কী রকম হবে?

পিন্টু : তৃতীয় বিভাগ ফুটবল বন্ধ করে দিলে যে সমস্যাটা হবে, একটা নির্ধারিত বয়সের ফুটবলাররা খেলার জায়গা পাবে না। তাই এ ধরনের সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে না নিয়ে একটু সবার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে নেওয়া উচিত। আমার মতে ফুটবলারদের স্বার্থেই তৃতীয় বিভাগ ফুটবলটা রাখা উচিত।

যাযাদি : ক্লাব নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

পিন্টু : আমরা সারাদেশে এবং দেশের বাইরে ৩০টার মতো কমিটি করেছি, সমর্থক গোষ্ঠী তৈরি করছি। এতে সারাদেশে চেইন থাকল। এতে করে ভালো একজন ফুটবলারকে খুঁজে বের করা অনেক সহজ হবে। দেশের বাইরে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অনেক ভালো ফুটবলার থাকে। ফেডারেশনের পক্ষ থেকে তাদের বের করাটা বেশ জটিল। কিন্তু ক্লাব চেষ্টা করলে সহজেই ফেডারেশনের সঙ্গে ওই ফুটবলারদের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া সম্ভব। সেসব দেশে অনেক বড় বড় ক্লাব আছে। আমরা যদি আমাদের দেশ থেকে কিছু ভালো ফুটবলারকে ওইসব দেশে পাঠাতে পারি সেটা দেশের জন্য খুবই ভালো হবে। প্রতিটি জেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে কিংস্টার নামে ক্লাব করব। তাদের নিয়ে আন্তঃকিংস্টার ফুটবল টুর্নামেন্ট করার পরিকল্পনা আছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে