ক্যারিয়ারে ৪২ ফিফটির বিপরীতে ১২ সেঞ্চুরি। আবার সেই ১২ সেঞ্চুরির মাঝে ৭ বার গিয়েছেন দেড়শ পর্যন্ত।
মুশফিকুর রহিম টেস্ট ফরম্যাটে দেড়শ রান বা ড্যাডি সেঞ্চুরির সঙ্গে অপরিচিত নন একেবারেই। তবে ডাবল সেঞ্চুরির সঙ্গে সখ্যতা একটু কমই বলা চলে। সবশেষ পাকিস্তানেও আউট হয়েছিলেন ১৯১ রানে গিয়ে।
গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে আরও একবার ডাবল সেঞ্চুরির দিকে চোখ রাখছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
আগেরদিন শেষ বিকেলে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। আজ সেটাকে নিয়ে গেলেন ১৫০– এর ওপারে। বৃষ্টি হানা দেয়ার আগে মুশফিকের স্কোর ১৫৯।
মুশফিককে বড় রানের পথে সঙ্গ দিচ্ছেন লিটন কুমার দাস। ক্রিজে আসার পর থেকেই খানিকটা ওয়ানডে মেজাজে খেলছিলেন।
খানিক আগ্রাসী হতে গিয়ে বিপদে যে পড়েননি তা না। তবে ক্যারিয়ারের ১৮তম ফিফটি ঠিকই তুলে নিয়েছেন।
খেলা বন্ধের আগে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ৬১ রান। আর দুজনের এই জুটি থেকে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ১১৪ রান।
বাংলাদেশের সংগ্রহটাও তাতে বেশ পুষ্ট। ৪ উইকেট হারিয়ে ৪২৩ রান করেছে ফিল সিমন্স শিষ্যরা।
এর আগে দিনের শুরুতেই ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। আগের দিন ১৩৬ রানে ড্রেসিংরুমে ফিরেছিলেন শান্ত।
এদিন ১৪৮ রানেই ফিরে যান তিনি। আসিথা ফার্নান্দো সকাল থেকেই ভাল সুইং পাচ্ছিলেন। সেই সুইংয়ের পাতা ফাঁদে মিড অনে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে ক্যাচ দিয়েছিলেন শান্ত। ড্যাডি সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ২ রান দূরে থামতে হয় বাংলাদেশ অধিনায়ককে।
গলে সিরিজের প্রথম টেস্টে অবশ্য বাংলাদেশের শুরুটা এতটা ভালো ছিল না। গতকাল ম্যাচের প্রথম দিনের প্রথম সেশনেই ৩ উইকেট হারাতে হয়েছিল সফরকারীদের।
স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার হয়ে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছিলেন আসিথা ফার্নান্দো এবং থারিন্দু রত্নায়েকে। এক পর্যায়ে ৪৫ রানে ৩ উইকেটই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
সেখান থেকে টাইগারদের পথ দেখিয়েছে দুটো দারুণ জুটি। প্রথমে মুশফিক-শান্ত মিলে যোগ করেন ২৬৪ রান।
এরপর লিটন এবংমুশফিকের জুটি থেকে এসেছে আরও ১১৪ রান। সবমিলিয়ে গলে একপ্রকার দাপুটে সময়ই পার করছে বাংলাদেশ।
এই টেস্টের পয়েন্ট আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে যুক্ত হবে।