আজকের যায়যায়দিন

বাংলাদেশ দলের বোলিংয়ে একটা সময় প্রধান শক্তি ছিল স্পিনাররা। তবে সেই ধারার পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ দলের বোলিং বিভাগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পেসাররা। বিশেষ করে গত এক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে দারুণ পারফর্ম করছেন তাসকিন-ইবাদতরা। তাদের বদলে দেওয়ার অন্যতম প্রধান কারিগর হলেন টাগারদের পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। তবে এর জন্য বাড়তি কোনো বাহবা নিতে রাজি নন দক্ষিণ আফ্রিকার এই পেস বোলিং কোচ।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচকে সামনে রেখে অনুশীলন করছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ডোনাল্ড। সেখানেই পেসারদের পারফরম্যান্স নিয়ে ডোনাল্ড বলেন, 'এটা সম্মিলিতভাবে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। এই জমাট মানসিকতার ব্যাপারে অনেকদিন ধরে বলছি। আমার মনে হয়, এই দলের মানসিকতা যেভাবে মানিয়ে নিয়েছে, এটা দারুণ ব্যাপার।' 'এটা দেখা অসাধারণ যেভাবে আমরা প্রথম ম্যাচে বল করেছি। সবার ইমপ্যাক্ট ছিল, প্রশ্ন তৈরি করতে পেরেছি, সুযোগও বানিয়েছে। খুবই আনন্দিত এসব দেখে। আমাদের বলতে হবে এখানকার কিউরেটর খুব ভালো উইকেট দিয়েছে। এই উইকেটে পেস ও বাউন্স আছে, ধারাবাহিকভাবে ক্যারি করেছে, গতিও ছিল। এ জন্য ব্যাটাররাও রান পাচ্ছে,' যোগ করেন ডোনাল্ড।

গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে বাংলাদেশ দলের পেসারদের দায়িত্ব নেন ডোনাল্ড। প্রথম সিরিজেই দেখা গিয়েছে তার কার্যকারিতা। বর্তমানে তো দারুণ পারফরম্যান্স করছেন পেসাররা। পেসারদের বদলে দেওয়ায় তার ভূমিকার কথা তুলে ধরলে ডোনাল্ড বলেন, 'কোচ হিসেবে আমরা এখানে বাহবা নিতে আসিন, ইমপ্যাক্ট তৈরি করতে এসেছি। আমি অনেক সাক্ষাৎকারে বলেছি, এখানে শুধু একটা প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারেন। এরপর ক্রিকেটাররা সেটাতে বিশ্বাস করতে পারে অথবা অন্তত চেষ্টা করতে পারে- এমনকি আগ্রহী নাও হতে পারে।' তাইতো পুরো কৃতিত্ব স্বাগতিক দলের শিষ্যদেরই দিলেন এই প্রোটিয়া কোচ, 'আমি যেটা বলছি, এটা দেখা অসাধারণ যেভাবে পুরো একটা গ্রম্নপের ছেলেরা... শুধু গত ম্যাচে যারা খেলেছে, তারাই নয়। এখানে যারা নেই, তারাও। হাসান মাহমুদ, শরিফুল, খালেদ; সবাই এই যাত্রার অংশ।