বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ফুটবল প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে যশোর সেনানিবাসের ৫৫ পদাতিক ডিভিশন। ১২০ মিনিটের খেলা শেষে শ্বাসরুদ্ধকর টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে জয় পায় তারা। যশোরে অনুষ্ঠিত টানটান উত্তেজনাপূর্ণ এই খেলা দেখে উচ্ছ্বসিত দর্শকরা। সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ ১৬টি ইউনিট নিয়ে ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। গ্রম্নপপর্ব, কোয়ার্টার ফাইনাল সেমিফাইনালের গন্ডি পেরিয়ে ফাইনালে উঠে যশোর সেনানিবাসের ৫৫ পদাতিক ডিভিশন এবং টাঙ্গাইলের ঘাটাইল সেনানিবাসের ১৯ পদাতিক ডিভিশন।
সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় খেলার শুরুতেই রক্ষণাত্মক মেজাজে খেলা শুরু করে ৫৫ পদাতিক ডিভিশন। তবে পিছিয়ে ছিল না ১৯ পদাতিক ডিভিশনের খেলোয়াড়রা। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে উঠে খেলা। তবে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে কোনো পক্ষই গোলপোস্টে বল দিতে পারেনি। সে কারণে অতিরিক্ত আরও ৩০ মিনিটে গড়ায় খেলা। এ সময়ও উভয়পক্ষের খেলোয়াড়রা বেশ কয়েকটি গোলের প্রচেষ্টা চালালেও গোলরক্ষদের নৈপুণ্যে তা ব্যর্থ হয়।
অতিরিক্ত সময়ও ফলাফল না আসায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখান থেকে ৩-২ গোলে জয় পায় ৫৫ পদাতিক ডিভিশন। এই জয়ে উচ্ছ্বসিত বিজয়ী দলের খেলোয়াড়রা। পাশাপাশি পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে ভালো খেলা উপহার দিতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রানার্সআপ দলও।
৫৫ পদাতিক ডিভিশন ফুটবল টিমের অধিনায়ক ক্যাপ্টেন সোহানুর বলেন, 'পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে দল ঐক্যবদ্ধভাবে খেলেছে। যার ফলস্বরূপ চ্যাম্পিয়ন ট্রফি এসেছে আমাদের ঘরে। এই ম্যাচটিতে অনেক প্রেসার নিয়ে খেলতে হয়েছে। যে কারণে নির্ধারিত সময় ও অতিরিক্ত সময়েও কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসেনি। তবে সবশেষ টাইব্রেকারে গোলকিপারের নৈপুণ্যে আমরা বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছি।'
১৯ পদাতিক ডিভিশন ফুটবল টিমের অধিনায়ক লাবিব বলেন, 'শুরু থেকেই আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতপূর্ণ ম্যাচ খেলে ফাইনালে আসি। খেলোয়াড়রা জয় পেতে সর্বোপরি চেষ্টা করেছে। ব্যর্থ হলেও ভালো খেলে দর্শকদের আনন্দ দিতে পারায় আমরা খুশি।'
গত ৭ সেপ্টেম্বর শুরু হয় এই ফুটবল প্রতিযোগিতা। সমাপনীতে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ।
এ ছাড়া একজন নবীন ও একজন প্রবীণ সেরা খেলোয়াড়কে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ফরমেশনের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাসহ যশোর এলাকার সব অফিসার, জেসিও এবং অন্যান্য পদবির সৈনিকরা উপস্থিত ছিলেন।