চলছে বিপিএলের সিলেট পর্বের খেলা। ১৬ ম্যাচ শেষে নিজেদের সবকটি ম্যাচ জিতে টেবিলের সবার ওপর আছে খুলনা টাইগার্স। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। যদিও চট্টগ্রাম একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে খুলনা থেকে। এদিকে আপাতত রানের দিকে সবার ওপর রয়েছেন বরিশালের মুশফিকুর রহিম। আর উইকেট শিকারে সবাইকে পেছনে ফেলেছেন চট্টগ্রামের বিলাল খান। এবারের বিপিএলে বেশকিছু ক্রিকেটার দারুণ পারফর্ম করছেন। তাদের পারফর্মেন্সের ওপর ভর করেই দলগুলো সফলতা পাচ্ছে।
বিলাল খান (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স)
এবারের বিপিএলে আপাতত সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার চট্টগ্রামের বিলাল খান। ওমানের এই ক্রিকেটার ৫ ম্যাচ খেলে ৮ উইকেট তুলে নিয়েছেন। সিলেটের বিপক্ষে চট্টগ্রামের শেষ ম্যাচে ২৪ রান খরচায় ৩ উইকেট তুলে নেন বাঁহাতি এই পেসার। সিলেট পর্ব চলাকালীন টেবিলের দুইয়ে অবস্থান করছে চট্টগ্রাম। বিপিএলের বাকি সময়ের জন্য চট্টগ্রাম চাইবে বিলাল যেন তার ছন্দ ধরে রাখুক।
মুশফিকুর রহিম (ফরচুন বরিশাল)
চলতি বিপিএলে আপাতত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। ফরচুন বরিশালের এই ক্রিকেটার ৫ ম্যাচ খেলে ২০২ রান সংগ্রহ করেছেন। পাশাপাশি রয়েছেন দুটি অর্ধশতকও। মুশফিকের স্ট্রাইকরেটও সম্মানজনক। ৫ ম্যাচ খেলা মুশফিকের স্ট্রাইকরেট ১৩৪-এর কিছুটা নিচে। বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য এই ক্রিকেটার ভালো পারফর্ম করবে বিপিএলে, তা অনুমেয়ই ছিল। এখন দেখার বিষয়, বিপিএলের বাকি সময়টাতে কেমন পারফর্ম করেন মুশি।
বাবর আজম (রংপুর রাইডার্স)
সাকিবের সতীর্থ বাবর আজমও রয়েছেন দারুণ ছন্দে। এবারের বিপিএলে বাবর শুরুর একটি ম্যাচ না খেললেও, টানা চার ম্যাচে তার ব্যাট ভালোই হেসেছে। চার ম্যাচে দুই অর্ধশতকে বাবরের রান ১৫৭। আছেন রান তালিকার চতুর্থ স্থানে। তবে বাবরের স্ট্রাইকরেট কিছুটা কম। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের স্ট্রাইকরেট ১১৩। রংপুরের জন্য একটি দুঃসংবাদ রয়েছে বাবরকে নিয়ে। চলতি মাসে পিএসএল শুরু হলেই দেশে ফিরে যাবেন বাবর। যার ফলে পুরো টুর্নামেন্টে বাবরকে পাচ্ছে না রাইডার্সরা।
মেহেদী হাসান (রংপুর রাইডার্স)
বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান এবারের বিপিএলে জাদু দেখাচ্ছেন তার স্পিন ঘূর্ণি দিয়ে। ৫ ম্যাচ খেলা মেহেদী এরই মধ্যে ৭ উইকেট তুলে নিয়েছেন। তার ইকোনমিও অন্য বোলারদের তুলনায় বেশ কম। ওভারপ্রতি ৬.১৩ রান করে দিয়ে সবার প্রশংসা কুড়াচ্ছেন মেহেদী।
এনামুল হক বিজয় (খুলনা টাইগার্স)
চলতি বিপিএলে চার ম্যাচে চার জয় নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে খুলনা টাইগার্স। আর এই খুলনাকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এনামুল হক বিজয়। খুলনার অধিনায়ক দুই অর্ধশতকে করেছেন ১৩০ রান। এ ছাড়াও ৩টি ক্যাচও ধরেছেন বিজয়।
মোহাম্মদ ইমরান (ফরচুন বরিশাল)
ফরচুন বরিশালের পাকিস্তানি পেসার এবারের বিপিএলে আপাতত দারুণ পারফর্ম করে যাচ্ছেন। গত বিপিএলে ঢাকার হয়ে খেলা ইমরান, এবার খেলছেন বরিশালের হয়ে। বরিশালের হয়ে ৪ ম্যাচ খেলে এরই মধ্যে তুলে নিয়েছেন ৭ উইকেট। বিপিএলের বাকি সময়টাতে এমন ছন্দে থাকুক ইমরান, তাই চাইবে বরিশাল।
এদিকে আরও কিছু খেলোয়াড় সবার নজরে রয়েছেন। তাদের মধ্যে সবার প্রথমেই আসবে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার জশ ব্রাউনের নাম। টুর্নামেন্টের মাঝপথে এই অজি ওপেনারকে দলে টেনেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। অস্ট্রেলিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ বিগ ব্যাশের সেমিফাইনালে শতক এবং ফাইনালে অর্ধশতক তুলে নিয়ে সবার নজরে আসেন তিনি। এই দুই ম্যাচের পারফর্মেন্স দেখে কোনো দ্বিধা না করেই তাকে দলে টানে চট্টগ্রাম। এখন দেখার বিষয়, বিগ ব্যাশের পর বিপিএলের বাকি সময়টাতে কেমন পারফর্ম করেন তিনি।
এ ছাড়াও সবার প্রশংসা কুড়াচ্ছেন কুমিলস্নার স্পিনার আলিস আল ইসলাম। ৩ ম্যাচ খেলে ৪ উইকেট নেওয়া এই স্পিনার কুমিলস্নার ভরসার নাম। এ ছাড়াও বরাবরের মতো নিজেদের জাত চিনিয়ে যাচ্ছেন মুস্তাফিজুর রহমান, সাকিব আল হাসানরা। যদিও সাকিব ব্যাটে-বলে এখনো নিজের সেরা ছন্দে নেই। তবে বিপিএলের বাকি সময়টাতে সাকিবের সেরাটা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে ভক্তরা।