রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

আজ সুদানের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ বাংলাদেশের

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ১৪ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
সৌদি আরবে সুদানের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচের আগে নিজেদেরকে শেষ বারের মতো ঝালিয়ে নিচ্ছেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা -বাফুফে

বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে আজ সুদানের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এর আগে গত রোববার রাতে সুদানের বিপক্ষে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। আজকের ম্যাচটির মতো ওই ম্যাচটিও ছিল ক্লোজডোর। যে ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করেছিলেন জামাল ভুইয়ারা।

বুধবার জাতীয় দলের অনুশীলন শেষে এক ভিডিও বার্তায় কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা বলেন, 'ইতোমধ্যে দশ দিনের মতো হয়ে গেছে। প্রথম ম্যাচে ছেলেদের পারফরম্যান্স আমি পজিটিভভাবেই দেখছি। কারণ সুদানের মতো কঠিন দলের বিপক্ষে তারা খেলেছে। আজ অনুশীলনে সেটপিস নিয়ে কাজ করা হয়েছে। আগামীকাল আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। কারণ সুদানের বিপক্ষে আমাদের দ্বিতীয় ম্যাচ।'

সৌদিতে আবাসিক ক্যাম্প অনুশীলন, প্রস্তুতি ম্যাচ সব মিলে দারুণ সময় কাটছে বাংলাদেশ দলের। মাঝে জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়া নিয়মিত গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো আবারও ফিরেছেন প্রাথমিক ক্যাম্পে। আজকের প্রস্তুতি ম্যাচটাতেও ভালো করার প্রত্যাশা জিকোর, 'সব মিলে আমাদের ট্রেনিং খুব ভালো হচ্ছে। আমরা অনেক কঠোর পরিশ্রম করছি। জিম সেশন করছি। এরই মধ্যে আমরা একটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলেছি। সেখানে ড্র করেছি। তারা অনেক শক্তিধর দল। ফিজিক্যালিও এগিয়ে। আমাদের এখন মূল লক্ষ্য ফিলিস্তিন ম্যাচ। আমাদের আরও একটা প্রস্তুতি ম্যাচ রয়েছে সুদানের সঙ্গে। সেখানেও আমরা ভালো করার চেষ্টা করব।'

প্রস্তুতির পর মূল ম্যাচেও ভালো করবে বাংলাদেশ দল। এমনটা প্রত্যাশা জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এই গোলরক্ষকের, 'আজ আমাদের কোচের সঙ্গে একটা মিটিং ছিল। আমরা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ যেটা খেলেছি। সবাই ট্রেনিংয়ে যেটা করেছে পেস্নয়াররা মাঠে সেটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এখানে আমরা যে সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি, ফুটবলাররা সবাই যেমন একসঙ্গে কাজ করছি, সেটা যদি আমরা ঠিকমতো ফিলিস্তিনের ম্যাচে করতে পারি তাহলে আমরা অবশ্যই দুই ম্যাচে ভালো ফলাফল করতে পারব।'

একটা সময় কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার প্রথম পছন্দই ছিলেন গোলরক্ষক জিকো। নিজের সেরাটা দিয়েই আবারও কোচের আস্থা অর্জন করতে চান বলে জানান তিনি, 'আমি ক্লাব বা জাতীয় দল সবখানেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। আমি কখনোই এটা ভাবি না যে আমি জাতীয় দলের এক নাম্বার গোলরক্ষক। আমি প্রতিটা ম্যাচেই উন্নতি করতে চাই। আমার অনেক দায়িত্ব এবং আরও যে তিনজন গোলরক্ষক আছে তাদেরও অনেক দায়িত্ব। দিন শেষে যেই খেলুক না কেন। দেশের জন্য একটা ভালো ফলাফল হোক। আমার এটাই প্রত্যাশা।

জিকো, মিতুলদের মতো অভিজ্ঞ গোলরক্ষকদের পাশাপাশি দলে আছেন মেহদী হাসান শ্রাবণের মতো তরুণ গোলরক্ষকও। মূল দলে জায়গা পেতে লড়াইটা তাই সহজ হচ্ছে না তার জন্য। জানালেন সৌদিতে ঠিকঠাকভাবেই হচ্ছে দলের অনুশীলনটা, 'আলহামদুলিলস্নাহ সব কিছু মিলে এখানে ভালো আবহাওয়া। আমাদের অনুশীলন, কোচিং স্টাফ তারপর কোচ আমাদের যে নির্দেশনা দিয়েছেন, এখানে খুব নিরিবিলি অনুশীলন করতে পারছি। কোনো ডিস্টার্ব হচ্ছে না। তাই অনুশীলনে খুব ভালোভাবে মনোযোগ দিতে পারছি। সব মিলে সব কিছু ঠিকঠাক চলছে।'

'জিকো ভাই, মিতুল ভাই তারা আগে জাতীয় দলে খেলেছেন। তারা অভিজ্ঞ গোলকিপার। আমি নতুন এসেছি। উনাদের থেকে আগে যা শিখেছি সেগুলো ম্যাচে এপস্নাই করার চেষ্টা করি। কোচ অনুশীলনে যে নির্দেশনা দিয়েছেন, সেগুলো মেনে মাঠে করার চেষ্টা করি। কোচিং স্টাফ এগুলো দেখার পর যদি মনে করেন আমাকে খেলানো যাবে বা আমি প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে ভালো এপস্নাই করতে পারছি। সেটা কোচিং স্টাফদের ওপর নির্ভর করে। আমি সব সময় চেষ্টা করব অনুশীলন এবং প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে তারা যে নির্দেশনা দেয় সেই অনুযায়ী খেলার জন্য।' যোগ করেন শ্রাবণ।

তবে আগের থেকে অনেকটাই আত্মবিশ্বাস বেড়েছে তার। প্রত্যাশা আরও ভালো করার, 'প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছি লেবাননের বিপক্ষে। ঐ মাঠে প্রচুর দর্শক ছিল। প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ এবং বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ তাই বাড়তি একটা চাপ ছিল। আগে জাতীয় দলের জার্সিতে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হয়নি, তাই সব মিলে ভালো একটা চাপ ছিল আমার ওপর। এএফসি কাপ এবং গত ম্যাচ খেলাতে আস্তে আস্তে কনফিডেন্স পাচ্ছি। মাঠে নিজের কনফিডেন্স দেখানোর চেষ্টা করি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে