শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

চার ম্যাচে এক পয়েন্ট পেয়েও তৃপ্ত ক্যাবরেরা

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ২৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা

বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে চারটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। চার ম্যাচে বাংলাদেশের প্রাপ্তি মাত্র ১ পয়েন্ট। তবে পয়েন্ট যাই হোক বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার চোখে ধরা পড়েছে শিষ্যদের উন্নতিই। মঙ্গলবার ঘরের মাঠে ফিলিস্তিনের কাছে ১-০ গোলে হেরে গেলেও এমন শক্তিধর প্রতিপক্ষকে ৯৫ মিনিট আটকে রাখতে পারার তৃপ্তি ক্যাবরেরার।

বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাই পর্বে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচে শক্তিধর অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার মেনেছিল ৭-০ গোলে। তবে পরের ম্যাচেই ঘরের মাঠে লেবাননের বিপক্ষে দুর্দান্ত লড়াই করে ১-১ গোলে ড্র করে। সংগ্রহ করে ১ পয়েন্ট। এরপর কুয়েতে ফিলিস্তিনের সঙ্গে ম্যাচের ৪০ মিনিট জুড়ে কঠিন লড়াই করেন জামাল ভূঁইয়ারা। তবে রক্ষণের ভুলে শেষ পর্যন্ত ৫-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। হারলেও শিষ্যদের প্রতি আস্থা হারাননি ক্যাবরেরা। বাস্তবতাটা উপলব্ধি করেছেন। বাংলাদেশ থেকের্ যাংকিংয়ে অনেক এগিয়ে ফিলিস্তিন,র্ যাঙ্কিংয়ে ৯৭তম স্থানে আছে তারা। এমন দলের বিপক্ষে হারলেও ক্যাবরেরা দেখেছেন বাংলাদেশ দলের উন্নতি। আত্মবিশ্বাস ছিল। ওই ম্যাচের পর যে অল্প ক'দিনই সময় পেয়েছেন দলের ভুলত্রম্নটিগুলো নিয়ে কাজ করেছেন। যার প্রভাব দেখা গেছে মঙ্গলবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাতে বাংলাদেশ-ফিলিস্তিন লড়াইয়ে। এদিন জামালরা ফিলিস্তিনের চোখে চোখ রেখে প্রায় পুরো ম্যাচটাই লড়াই করেছেন। শেষ দিকে এসে একটি গোল হজম না করলে হয়তো বাংলাদেশের পাশে যোগ হতে পারত অন্তত আরও একটি পয়েন্ট। যদিও রক্ষণের ভুলেই শেষ মুহূর্তে এক গোল খেয়ে হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। তবে ম্যাচ হারলেও জামাল-তপু-হৃদয়দের নিয়ে গর্বিত হওয়া উচিত বলে মনে করছেন স্প্যানিশ কোচ। পুরো ম্যাচে ফিলিস্তিনের পাশাপাশি বাংলাদেশও সুযোগ পেয়েছিল। রাকিব-ফাহিমরা ভীতি ছড়ালেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। কুয়েতের মাঠে যেভাবে রক্ষণের ভুলে একের পর এক গোল হয়েছে, কিংস অ্যারেনাতে তা হয়নি। আগের চেয়ে ভুল-ভ্রান্তিও কম হয়েছে। তবে দুটি ভুল ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথমটি ম্যাচের ৪৮ মিনিটে, ফিলিস্তিন ভালো সুযোগ নষ্ট করে। শাকিল হোসেনের ব্যাক পাস মিতুল ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি। বল পায়ে রেখে ক্লিয়ার করার আগেই তা ওলে দাবাঘ ফাঁকায় পেয়েও ঠিকমতো লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি। তার আগেই মিতুল প্রাচীর হয়ে শুয়ে পড়ে আটকানোর চেষ্টা করেছেন। শেষ পর্যন্ত দাবাঘের শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে গেছে। তবে শেষটি থেকে ঠিকই ফিলিস্তিন গোল আদায় করে নিয়েছে। যোগ করা সময়ে কর্নার থেকে ইসলাম বারতানের হেডে তেরমানির আনমার্কড থেকে গোল করতে কোনো সমস্যাই হয়নি। গোলকিপার শ্রাবণ কিছুই করতে পারেনি।

তবে বাংলাদেশের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা শিষ্যদের ভুল দেখছেন না তেমন একটা,'ফুটবলে এমনটা হতে পারে। আমাদের দল নিয়ে গর্বিত হওয়া উচিত, বিশেষ করে প্রথমার্ধে আমরা জমাট ছিলাম। যদিও ওরা বল পজিশনে এগিয়ে ছিল, কিন্তু আমরা আধিপত্য দেখিয়েছি, ভীত ছিলাম না। পরিস্থিতি ভালোভাবে সামাল দিয়েছি। অনেক কর্নার পেয়েছিল ওরা, সেগুলোও আমরা ভালোভাবে ডিফেন্ড করেছি। শেষ দিকে আমরাও কিছু সুযোগ পেয়েছিলাম, কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে