আজকের যায়যায়দিন

গ্রম্নপ পর্বের সব ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকেই সুপার লিগে উঠেছে আবাহনী। সোমবার সুপার লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে দারুণ এক জয়ে চলতি মৌসুমের শিরোপা অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেছে নাজমুল হোসেন শান্ত-লিটন দাসদের নিয়ে গড়া দলটি। আগে ব্যাট করে তামিম-মুশফিকদের প্রাইম ব্যাংক করেছে ১৭৮ রান। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৮.৩ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আবাহনী।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সোমবার ডিপিএলের সুপার লিগের প্রথম ম্যাচে আরেকটি সহজ জয় পেয়েছে আবাহনী। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

রান খরায় থাকা লিটন দাস শ্রীলংকা সিরিজের পর ছুটি নিয়েছিলেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ থেকে। সুপার লিগ রাউন্ডে ফিরেই ডানহাতি ওপেনার দেখালেন ছন্দে ফেরার আভাস। আবাহনী সহজ রান তাড়ায় ফিফটি করেছেন তিনি। তার সঙ্গে জুটিতে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে টি২০'র মহড়া দিয়েছেন তাওহিদ হৃদয়।

শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদদের তোপে প্রাইম মাত্র ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেলে কোনো রকম চ্যালেঞ্জ ছাড়াই টানা ১২তম জয় পেয়েছে আবাহনী। ৩৮.৩ ওভারেই প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় তারা। এই জয়ে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা জয়ের আরও কাছে চলে গেছে ফেভারিট দলটি। ওপেন করতে নামা লিটন ১০৬ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন। পাঁচে এসে হৃদয় তোলেন ঝড়। মাত্র ২৭ বলে ৪ বাউন্ডারি, ৫ ছক্কায় করেন ২৭ বলে ৫৫ রান করে যান তিনি।

চট্টগ্রামে বাজে আউটফিল্ডে ক্রিকেটারদের ইনজুরি ঝুঁকি

মামুলি লক্ষ্যে নেমে দেখে-শুনে শুরু করেন লিটন-এনামুল হক বিজয়। থিতু হয়ে রিভার্স সুইপের চেষ্টায় স্স্নিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৩২ বলে ২২ করা বিজয়। দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ৫২ রানের জুটি পান লিটন। শেখ মেহেদীর বলে ২২ করে আউট হন শান্তও। চারে নেমে আফিফ হোসেন ১০ বলে ৪ রান করেই পয়েন্ট সহজ ক্যাচ তুলে বিদায় নেন। তাতে কোনো সমস্যা হয়নি আবাহনীর।

হৃদয়-লিটনের জুটিতে আসে আরও ৬২ রান। হৃদয়ই তাতে করেন ৫৫। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজের টি২০'র মহড়া দেন তিনি। নাজমুল ইসলাম অপুর বলে হৃদয় ফিরলে লিটন টিকে থেকে সতর্ক পথে সারেন দায়িত্ব।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে শরিফুল-তাসকিনের তোপে পড়ে প্রাইম ব্যাংক। ইনিংসের তৃতীয় বলেই পারভেজ হোসেন ইমনকে ছাঁটেন শরিফুল। তৃতীয় ওভারে শাহাদাত হোসেন দীপুকেও ফেরান তিনি। অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল তাসকিনের বলে পুল করে দেন সহজ ক্যাচ। ৫ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় প্রাইম।

ওই পরিস্থিতি থেকে দলকে শতরানের জুটিতে ভরসা জোগান জাকির হাসান ও মুশফিকুর রহিম। ৬৫ বলে ৪৪ করে মুশফিকের বিদায়ে ফের উইকেট পতনের শুরু। জাকিরও আউট হন ৭০ বলে ৬৮ করে। শেষদিকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, তানভির ইসলামরাও উইকেট নেওয়া শুরু করলে পেরে ওঠেনি প্রাইম।