সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

পিএসজির আশা গুঁড়িয়ে ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড

ক্রীড়া ডেস্ক
  ০৯ মে ২০২৪, ০০:০০
পিএসজির বিপক্ষে গোলা করায় ম্যাটস হামেলসকে ঘিরে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের সতীর্থদের উচ্ছ্বাস -ওয়েবসাইট

একটি-দুটি নয়, পিএসজির চার-চারটি প্রচেষ্টা বাধা পেল পোস্ট আর ক্রসবারে। ভাগ্য সহায় না হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পেলই না তারা। উল্টো মুহুর্মুহু আক্রমণ সামলে পিএসজির জালে বল পাঠিয়ে দিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের আশা গুঁড়িয়ে ১১ বছর পর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠল জার্মান ক্লাবটি।

নিজেদের ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে মঙ্গলবার রাতে সেমিফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচে পিএসজি ১-০ গোলে হেরেছে ডর্টমুন্ডের কাছে। এতে দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ ব্যবধানের অগ্রগামিতায় শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে জায়গা করে নিল এদিন তারজিচের শিষ্যরা। গত সপ্তাহে নিজেদের মাঠ সিগনাল ইদুনা পার্কে অনুষ্ঠিত প্রথম লেগেও একই ব্যবধানে জিতেছিল জার্মান ক্লাবটি।

এতদিন মুখোমুখি লড়াইয়ে প্যারিস সেন্ট জার্মেই ও বরসিয়া ডর্টমুন্ড নিজ নিজ মাঠে ছিল অপ্রতিরোধ্য। তাই সিগন্যাল ইদুনা পার্ক থেকে গত সপ্তাহে হেরে এলেও পার্ক দে প্রিন্সেসে ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় ছিল প্যারিস ক্লাব। কিন্তু ঘরের মাঠে হেরে স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় সিক্ত হলো তারা। চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়ে তৃতীয়বার ফাইনালে উঠল এবারের আসরের আন্ডারডগ ডর্টমুন্ড। পিএসজির জার্সিতে ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের শেষ সুযোগ ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পের সামনে। তাকে নিষ্ক্রয় করে রেখে প্যারিস ক্লাবকে হতাশ করেছে জার্মানরা।

ম্যাচের ৭০ শতাংশ সময় বল পায়ে রাখা পিএসজি ঘুরে দাঁড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টাই করে। আক্রমণের ঝড় বইয়ে দিয়ে গোলমুখে কিলিয়ান এমবাপে-ভিতিনহা-গনসালো রামোসরা নেন মোট ৩০টি শট। কিন্তু গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ঘটনাবহুল দ্বিতীয়ার্ধে তাদের চারটি শট আটকে যায় পোস্ট ও ক্রসবারে। অন্য দিকে, লড়াইয়ে ব্যবধান গড়ে দেন ডর্টমুন্ডের বর্ষীয়ান জার্মান ডিফেন্ডার ম্যাটস হামেলস। ৫০তম মিনিটে ইউলিয়ান ব্রান্ডটের কর্নারে অসাধারণ হেডে জাল খুঁজে নেন তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে ওয়ারেন জাইরে-এমেরির শট পোস্টে বাধা পায়। পিএসজির আক্ষেপ আরও বাড়ে তিন মিনিট পর হামেলস উল্টো গোল করে বসলো। ম্যাচের পরবর্তী সময়েও কেবল দুর্ভাগ্যই সঙ্গী হয় লুইস এনরিকের শিষ্যদের। ৬২তম মিনিটে নুনো মেন্দেসের ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া শট পোস্টে লাগে। ৮৭তম মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর থেকে এমবাপের প্রচেষ্টা ক্রসবারে প্রতিহত হয়। দুই মিনিট পর ডি-বক্সের বাইরে থেকে ভিতিনহার শটও ক্রসবারে আটকে যায়।

ডর্টমুন্ড শেষবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলেছিল ২০১২-১৩ মৌসুমে। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে তারা হেরে গিয়েছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বায়ার্ন মিউনিখের কাছে। আগামী ২ জুন অনুষ্ঠেয় এবারের আসরের ফাইনালে সেই বায়ার্ন অথবা প্রতিযোগিতার রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে দলটি।

ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরে দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের সুযোগ এখন ডর্টমুন্ডের সামনে। একমাত্র শিরোপাটি তারা জিতেছিল ২৭ বছর আগে। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে মিউনিখে অনুষ্ঠিত ফাইনালে জুভেন্টাসের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। পিএসজির জন্য অবশ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল আরেকবার। তৃতীয়বারের মতো তারা বিদায় নিল প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল থেকে। একবার ফাইনালেও হার মানতে হয়েছিল তাদের। ২০১৯-২০ মৌসুমে প্যারিসিয়ানদের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বায়ার্ন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে