ব্যাটিং উইকেটে বোলারদের দাপট! অ্যাডিলেড ওভালে শুক্রবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে বোলিং নিয়ে ভুল করেনি পাকিস্তানের অধিনায়ক। মাত্র ৩৫ ওভারের মধ্যে অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করেছে। হারিস রউফের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৬৩ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। তারপর কোনো ধরনের বাধা-বিঘ্ন ছাড়া জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে পাকিস্তান। তারপর আব্দুলস্নাহ শফিক ও সাইম আইয়ুবের হাফ সেঞ্চুরিতে ১৪১ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটে জিতেছে তারা।
ফ্রেসার ম্যাকগুর্ক নাসিম শাহের এক ওভারে তিনটি বাউন্ডারিতে আগ্রাসী শুরু করেন। শাহিন শাহ আফ্রিদি অজি ওপেনারকে থামান। কিছু সময় পর উইকেট পড়তে থাকে নিয়মিত বিরতি দিয়ে। বিশেষ করে রউফ দারুণ লাইন-লেন্থে বল ফেলে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটারদের ভুল করতে বাধ্য করান। একের পর এক করে উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ রিজওয়ানের গস্নাভসে ধরা পড়তে থাকেন তারা। কয়েকটি দুর্বল স্ট্রোকও ভুগিয়েছে স্বাগতিক ব্যাটারদের।
স্ট্যাম্পের পেছনে রিজওয়ান ছয় ক্যাচ ধরে পাকিস্তানের হয়ে এক ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ডিসমিসালের তালিকায় সরফরাজ আহমেদের সঙ্গে শীর্ষে বসেছেন। অ্যাডাম জাম্পার সহজ ক্যাচ নিতে পারলে রেকর্ডটা তার একার হয়ে যেত। রউফ ৮ ওভারে ২৯ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। দুই ওপেনারকে ফেরানোর পর শাহিন জাম্পার উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে গুটিয়ে দেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন স্টিভ স্মিথ। আর কোনো ব্যাটার কুড়ির ঘরে পৌঁছাননি।
১৬৪ রানের লক্ষ্যে নেমে ওপেনিং জুটিতে সহজ জয়ের ভিত গড়ে পাকিস্তান। সাইম আইয়ুব ও আব্দুলস্নাহ শফিকের জুটি বিচ্ছিন্ন হয় ২১তম ওভারে, রান ছিল ১৩৭। জাম্পার বলে ৮২ রানে আউট হন সাইম। ৭১ বলের ইনিংসে ছিল ৫ চার ও ৬ ছয়। শফিকও হাফ সেঞ্চুরি করেন। বাবর আজমের সঙ্গে অপরাজিত থেকে তিনি দলকে জেতান। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে বাবর ছক্কা মেরে সিরিজে সমতা ফেরান। শফিক ৬৯ বলে চারটি চার ও তিন ছয়ে ৬৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। ২০ বলে ১৫ রানে খেলছিলেন বাবর। ১ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান করে ১৬৯ রান। আগামী ১০ নভেম্বর সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে। ১-১ এ দুই দলই সমতায়।