ম্যাচের ৩০ সেকেন্ড না যেতেই গোল হজম, একটু পর ব্রাহিম দিয়াসের অবিশ্বাস্য মিস- ভীষণ নড়বড়ে শুরুর পর কী দারুণভাবেই না ঘুরে দাঁড়াল রিয়াল মাদ্রিদ! চমৎকার পারফরম্যান্সে জোড়া গোলের আলো ছড়ালেন কিলিয়ান এমবাপে। জালের দেখা পেলেন তার দুই সতীর্থও। লাস পালমাসকে উড়িয়ে লা লিগার শীর্ষে উঠল কার্লো আনচেলত্তির দল।
সান্তিয়াগো বর্নাবু্যয়েতে রোববার রাতে ৪-১ গোলে জিতেছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয়ার্ধে অনেকটা সময় একজন কম নিয়ে খেলেছে পালমাস। এই সময়ে কোনো গোল যদিও হয়নি। ব্যবধান আরও বড় হতেই পারত। রেয়াল আরও তিনবার জালে বল পাঠালেও বাতিল হয়ে যায় অফসাইডের কারণে। এছাড়া ম্যাচে ৯টি সেভ করেন সফরকারী গোলরক্ষক ইয়াসপের সিলেসেন।
এদিনের এই জয়ে ২০ ম্যাচে ১৪ জয় ও ৪ ড্রয়ে লিগ টেবিলে রিয়ালের পয়েন্ট হলো ৪৬। সমান ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে নেমে গেছে আগের দিন হেরে যাওয়া অ্যাটলেটিকো। ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে বার্সেলোনা। আর ২০ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে ১৪ নম্বরে আছে পালমাস।
গোটা ম্যাচে গোলের জন্য ২৬টি শট নিয়ে ১৩টি লক্ষ্যে রাখে রিয়াল। সেখানে পালমাসের কেবল ৬ শটের ২টি লক্ষ্যে ছিল। ফাবিও সিলভা পালমাসকে এগিয়ে নেওয়ার পর প্রথমার্ধেই জোড়া গোল করেন এমবাপে। তার দুই গোলের মাঝে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাহিম দিয়াস। দ্বিতীয়ার্ধে জালের দেখা পান রদ্রিগো।
সৌদি আরবে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে ৫-২ গোলে হারের পর টানা দুই ম্যাচে বড় জয় পেল রেয়াল। ঘরের মাঠেই গত বৃহস্পতিবার কোপা দেল রের শেষ ষোলোয় অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে রিয়াল বেটিসকে ৫-২ গোলে হারায় তারা। কিক-অফের পর প্রথম শাণানো আক্রমণেই রেয়ালকে স্তব্ধ করে দেয় পালমাস। ডান দিক থেকে সান্দ্রো রামিরেসের পাসে অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে ছয় গজ বক্সে ঢুকে বল জালে পাঠান ফাবিও সিলভা। ঘড়ির কাঁটায় ম্যাচের বয়স তখন ২৮ সেকেন্ড!
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে লা লিগায় রায়ো ভাইয়েকানোর বিপক্ষে ম্যাচের পর যেকোনো প্রতিযোগিতায় রিয়ালের দ্রম্নততম গোল হজমের ঘটনা এটি। ওই ম্যাচে ১৫ সেকেন্ডে গোল খেয়েছিল তারা। তৃতীয় মিনিটে দলকে সমতায় ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ পান ভিনিসিউস জুনিয়রের নিষেধাজ্ঞায় একাদশে সুযোগ পাওয়া ব্রাহিম।