প্রথমার্ধের মলিনতা মুছে ৬৫ থেকে ৭১ মিনিটের মধ্যে একের পর এক গোল করল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবকে সহজে হারিয়ে গ্রম্নপ সেরা হওয়ার পথে এগিয়ে গেল দলটি। কুমিলস্নার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার বিকালে ফেডারেশন কাপের 'বি' গ্রম্নপের ম্যাচে ফকিরেরপুলকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে আবাহনী। সফল স্পট কিকে ইয়াসিন খান এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হাসান মুরাদ। অন্য গোলটি করেন মাহাদি ইউসুফ।

ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে অন্য ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীকে একই ব্যবধানে হারিয়েছে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটি। গ্রম্নপ সেরা হওয়ার লড়াইটা তাই জমে থাকল এই দুই দলের মধ্যেই। ৩ ম্যাচে দুই দলের পয়েন্টই সমান ৯ করে। আগামী ৪ ফেব্রম্নয়ারি নিজেদের চতুর্থ ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে তারা; গ্রম্নপ সেরার ফয়সালাও হবে ওই ম্যাচে।

কুমিলস্নায় প্রথমার্ধে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি আবাহনী। অষ্টম মিনিটে আসাদুল্‌ মোলস্না বল নিয়ে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে তালগোল পাকান। গোলমুখ থেকে তড়িৎ শটে ক্লিয়ার করেন ফকিরেরপুলের এক ডিফেন্ডার। ম্যাচের ২৪ মিনিটে ফকিরেরপুল দারুণ সুযোগ পায়। আবাহনীর এক খেলোয়াড়ের ব্যাক পাস থেকে বলের নাগাল প্রায় পেয়ে গিয়েছিলেন আকবির তুরায়েভ। কিন্তু ভারসাম্য হারিয়ে বক্সে পড়ে যান তিনি, দ্রম্নত ছুটে গিয়ে বল গস্নাভসে জমান গোলকিপার।

বিরতির পর স্বরূপে ফেরে আবাহনী। ৬৫তম মিনিটে ভাঙে ম্যাচের ডেডলকও। এনামুল গাজী ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে এগিয়ে যাওয়ার সময় ফাউলের শিকার হলে রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি। ইয়াসিন স্পট কিকে প্রতিযোগিতার রেকর্ড ১২ বারের চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে নেন। আবাহনীর ঝড়ের শুরুটাও এখান থেকে। তিন মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করে চালকের আসনে বসে আবাহনী। বক্সের ভেতরে এনামুল গাজীর পাস প্রথম স্পর্শে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দারুণ শটে জাল খুঁজে নেন মুরাদ। ৭১তম মিনিটে তৃতীয় গোলে জয়টা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে আবাহনী। ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে জায়গা করে নিয়ে বাঁ পায়ের জোরাল শটে সমর্থকদের আবারও উৎসবের উপলক্ষ এনে দেন মাহাদি ইউসুফ।

লিটনের ফিফটির পরও হার গুলশানের লাঞ্চের আগেই জিতে গেল রূপগঞ্জ

এদিকে রহমতগঞ্জ ৩-০ গোলে চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়েছে। ম্যাচের ৩২ মিনিটে রহমতগঞ্জ এগিয়ে যায়। একজনের সঙ্গে ওয়ান টু খেলে বক্সে ঢুকে দুজনকে কাটিয়ে জায়গা করে নিয়ে মিশরের মোস্তফা আব্দুল খালেক দারুণ শটে গোলকিপারকে পরাস্ত করেছেন। ৪১ মিনিটে জীবনের ফ্রি-কিক গোলপিকার ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি। পরের মিনিটেই পুরোনো ঢাকার দল ব্যবধান দ্বিগুণ করে। রায়হানের লম্বা থ্রো ইন থেকে জীবনের শট একজন ক্লিয়ার করেছিলেন। তবে স্যামুয়েল বোয়েটেং বক্সের ভেতরে বল পেয়েই জোরালো শটে কাঁপিয়ে দেন জাল। ৭২ মিনিটে রহমতগঞ্জ আরও একটি গোলের দেখা পায়। মাহমুদুল কিরনের কাটব্যাক থেকে ফাহিম নূর তোহা পেস্নসিং শটে বল জালে পৌঁছে দেন।