প্রশ্নটা শোনার সময় একটু ভ্রম্ন কুঁচকে তাকালেন ফিল সিমন্স। প্রশ্ন শেষ হতেই তার মুখে চওড়া হাসি। সেই হাসির রেশ নিয়েই কয়েক শব্দে উত্তর দিলেন বাংলাদেশ কোচ, যেখানে আসলে কোনো উত্তর নেই।
প্রসঙ্গটা পুরোনো। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে কোচের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাপারটি প্রাসঙ্গিকও। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য বাংলাদেশের দল ঘোষণা হয়ে গেছে বেশ আগেই। সেখানে সাকিব আল হাসানের জায়গা মেলেনি। এটা নিয়ে আলোচনা, বিতর্ক হয়েছে বিস্তর। নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কারণে দেশে ফিরতে না পারায় সম্ভাব্য বিদায়ী টেস্ট খেলতে পারেননি তিনি। বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ঝুলছে অনিশ্চয়তার সুতোয়।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায়ের পরিকল্পনার কথা আগে বলেছিলেন সাকিব। এই আসর খেলতে বাংলাদেশে আসার প্রয়োজন নেই বলে তার নিরাপত্তাজনিত হুমকির ব্যাপারটিও এখানে ছিল না। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক পালাবদলের পর নানা টানাপোড়েনের মধ্যে তাকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাংলাদেশ দলে রাখা হবে কি না, এটা ছিল কৌতূহল।
বিসিবির কাজ সহজ হয় যায় সাকিবের ক্রিকেটীয় এক সমস্যার কারণেই। কাউন্টি খেলতে গিয়ে অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় বোলিংয়ে নিষিদ্ধ হন তিনি। তাকে দলে না রাখার পক্ষে শক্ত যুক্তি মিলে যায়। দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন বলেছিলেন, শুধু ব্যাটসম্যান সাকিবকে দলীয় সমন্বয়ে জায়গা দিতে পারেননি তারা। পরে সাকিবকে নিয়ে বারংবার প্রশ্নে প্রধান নির্বাচক বলেছিলেন,' একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে নিয়ে কোনো জায়গাটার জন্য তাকে দলে রাখা গেল না, এটা নিয়ে পাবলিকলি এত খোলামেলা আলোচনা করা খুব একটা ভালো কথা নয়।'
কোচ সিমন্স তখন ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজে। তার ভাবনা তখন জানা যায়নি। জানা গেল না এখনও। বিসিবিতে সোমবার কোচকে প্রশ্ন করা হলো, বোলিং অ্যাকশনের সমস্যা না থাকলে সাকিবকে কি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে রাখা হতো? মুখে হাসি নিয়ে ধীরস্থির কণ্ঠে সিমন্সের উত্তর,' এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব না।'