অর্থনীতি

চার দশকের মধ্যে প্রথমবার ব্রিটিশ শিল্প রপ্তানির জন্য শীর্ষ তিন প্রবৃদ্ধির বাজারের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উচ্চ শুল্ক আরোপের ফলে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। খবর এফটি।

শিল্প সংগঠন মেক ইউকে গত মাসে একটি জরিপ পরিচালনা করে। সেখান বেলা যায়, আগামী তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি চাহিদা ইতিবাচক থাকবে এমন আশা প্রকাশ করেছে মাত্র ১৮ শতাংশ ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান। যেখানে ইউরোপের জন্য ৫৬ শতাংশ, মধ্যপ্রাচ্যের ২৩ ও এশিয়ার জন্য ২০ শতাংশ উৎপাদক ইতিবাচক চাহিদা আশা করেন।

মেক ইউকে জানায়, ১৯৮৮ সাল থেকে ব্রিটিশ রফতানি বাজার নিয়ে এ জরিপ প্রকাশ হয়ে আসছে। এবারই প্রথম শীর্ষ তালিকা থেকে বাদ পড়ল যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে বরাবরই রফতানিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধির গন্তব্য হিসেবে তালিকায় স্থান ধরে রেখেছিল দেশটি।

এদিকে সরকারি বাণিজ্য তথ্যানুযায়ী, এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে ব্রিটিশ পণ্যের রফতানি ২ বিলিয়ন পাউন্ড কমেছে, যা ১৯৯৭ সালের পর মাস ভিত্তিতে সবচেয়ে বড় পতন। জানুয়ারি-এপ্রিল পর্যন্ত টানা চার মাস রফতানি বেড়েছে। কারণ তখন মার্কিন শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে পণ্য পাঠাতে চেয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা।

মেক ইউকের প্রধান অর্থনীতিবিদ সেমাস নেভিন বলেন, ‘উৎপাদকরা তাদের অন্যতম প্রধান বাজারে বিশাল অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হচ্ছেন।’

মেক ইউকে ৩২৪টি কোম্পানির ওপর এ জরিপ পরিচালনা করেন। এর মধ্যে ৯ মে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণার সময়কালও অন্তর্ভুক্ত ছিল। যেখানে ব্রিটিশ গাড়ি ও ইস্পাত রফতানিতে কিছু শুল্ক কমানো হলেও অধিকাংশ পণ্যের ওপর ১০ শতাংশের শুল্ক বহাল ছিল।

অবশ্য চলতি সপ্তাহে নতুন বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য, যেখানে দুই দেশের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে শুল্ক কমানো হয়েছে। কানাডায় অনুষ্ঠিত জি৭ সম্মেলনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এ চুক্তিতে সই করেন। তবে যুক্তরাজ্য থেকে রফতানীকৃত ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম নিয়ে চূড়ান্ত কোনো নিষ্পত্তি হয়নি।