বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
সাপ্তাহিক শেয়ারবাজার

ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৬০০ কোটি টাকা

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৬০০ কোটি টাকা

বছরের প্রথম সপ্তাহ ভালো না গেলেও দ্বিতীয় সপ্তাহটি ছিল বিনিয়োগকারীদের জন্য গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভালো। ওই সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে অর্থাৎ ০৮-১১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রধান সূচক বেড়েছে ৫৭ পয়েন্টের বেশি এছাড়া শরিয়াহ্‌ সূচক ও ডিএসই-৩০ সূচকও বেড়েছে।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে দীর্ঘদিন ধরে মন্দাবস্থা বিরাজ করছিল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের পরদিন থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় শেয়ারবাজার। এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও প্রত্যাশা করছেন তারা।

এদিকে লেনদেন আগের সপ্তাহের তুলনায় ৬শ' কোটি টাকা বেড়েছে। দৈনিক গড় লেনদেন ৩৯৯ কোটি থেকে বেড়ে ৫৪৯ কোটি টাকায় উঠে এসেছে। গত সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য একদিন কম লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহেও ব্যাংক হলিডের জন্য একদিন কম লেনদেন হয়েছে।

ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে চার দিনে মোট দুই হাজার ১৯৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে চার দিনে মোট এক হাজার ৫৯৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৬০০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

সপ্তাহটিতে ডিএসইর প্রধান সূচক ৫৭.৫৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬,৩০১.৭০ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ্‌ সূচক ১৩.১১ পয়েন্ট বেড়ে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৩.৬৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১,৩৭৫.৯২ পয়েন্টে এবং ২,১১৭.৯১ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে ৪০৬টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এরমধ্যে ১৪৭টির দর বেড়েছে, ৩৩টির দর কমেছে, ২০০টির দর অপরিবর্তিত ছিল এবং ২৬টির লেনদেন হয়নি।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) সামান্য বেড়েছে। তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৩.১২ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা ১৩.২৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

বিগত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের নেতৃত্বে উঠে এসেছে বিডি থাই এলুমিনিয়াম লিমিটেড। সপ্তাহের চার কর্মদিবসে কোম্পানিটির ২ কোটি ৯৬ লাখ ২৭ হাজার ৫৫৬টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৯০ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ১.০৫ শতাংশ।

লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট এন্ড স্পা লিমিটেড। চার কর্মদিবসে কোম্পানিটির ৬৬ লাখ ৩৪ হাজার ২৩৪টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৭০ কোটি ৩৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৭.২৮ শতাংশ।

তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড। চার কর্মদিবসে কোম্পানিটির ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার ৬৩৬টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৬৭ কোটি ৫৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৫.৪৬ শতাংশ।

এছাড়া, সপ্তাহের চার কর্মদিবসে লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রূপালি ব্যাংক লিমিটেডের ৬৪ কোটি ২৮ লাখ ১০ হাজার টাকার, মেঘনা লাইফ ইন্সু্যরেন্সের ৫৯ কোটি ৮১ লাখ ৭০ হাজার টাকার, ওরিয়ন ইনফিউশনের ৫৬ কোটি ২২ লাখ ৪০ হাজার টাকার, খুলনা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিংয়ের ৪৮ কোটি ১৬ লাথ ৯০ হাজার টাকার, মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৪৬ কোটি ৩৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার, অলিম্পিক এক্সেসরিজের ৪৪ কোটি ৪৬ লাখ ২০ হাজার টাকার এবং দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেডের ৪৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেডের। সপ্তাহজুড়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৭.১৭ শতাংশ। সপ্তাহের চার কর্মদিবসে দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রূপালী ব্যাংকের ১৯.৭৫ শতাংশ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ১৭.৮৬ শতাংশ, বসুন্ধরা পেপার মিলসের ১৬.৪৫ শতাংশ, খান ব্রাদার্স ওপেন ব্যাগের ১৫.৮৮ শতাংশ, এফএএস ফাইন্যান্সের ১৪.৮১ শতাংশ, এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ডের ১৪.৬৭ শতাংশ, মাইডাস ফাইন্যান্সের ১৪.২৯ শতাংশ, প্রাইম ফাইন্যান্স ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ১২.৯০ শতাংশ এবং রূপালী লাইফ ইন্সু্যরেন্সের ১২.৬৮ শতাংশ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে