সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

এশিয়ার বাজারে রুশ কয়লা রপ্তানি নিম্ন্নমুখী

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
  ১৪ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

এশিয়ায় সাম্প্রতিক মাসগুলোয় কমেছে রাশিয়ার কয়লা রপ্তানি। প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোয় জ্বালানিটির দাম কম থাকায় প্রতিযোগিতার বাজারে পিছিয়ে রাশিয়া। এদিকে লোহিত সাগরে সংঘাতের কারণেও ইউরোপ ও ভারতের বাজারে হুমকির মুখে রুশ কয়লা রপ্তানি। তাপীয় ও কোকিং উভয় রুশ কয়লার জাহাজীকরণই দুর্বল হয়ে পড়েছে। খবর রয়টার্স।

বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কেপলারের হিসাব অনুযায়ী, ফেব্রম্নয়ারিতে রাশিয়া এশিয়ায় মোট ৮৪ লাখ ৮০ হাজার টন কয়লা রপ্তানি করে, জানুয়ারিতে যা ছিল ৮৩ কোটি ৭০ লাখ টন। গত মাসে কিছুটা বাড়লেও এর আগে টানা ছয় মাস নিম্নমুখী ছিল রপ্তানি। এছাড়া ফেব্রম্নয়ারিতে রপ্তানির পরিমাণও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ দশমিক ৬ শতাংশ কম।

রুশ কয়লার সবচেয়ে বড় বাজার ছিল ইউরোপ। কিন্তু ২০২২ সালের ফেব্রম্নয়ারিতে এতে পরিবর্তন দেখা দেয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের একের পর এক নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় রাশিয়া। বিকল্প হিসেবে এশিয়ার বাজারে রপ্তানি বাড়াতে শুরু করে দেশটি। রাশিয়া গত বছরের এপ্রিলে এশিয়ার বাজারে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৯০ হাজার টন কয়লা রপ্তানি করে, যা যুদ্ধের প্রথম দিকের কয়েক মাসের রপ্তানির দ্বিগুণেরও বেশি। ওই সময় রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা পালন করে ভারত।

দেশটি আকর্ষণীয় মূল্যছাড় দেয়ার মাধ্যমে ভারতের বাজার ধরতে সক্ষম হয়েছিল। বিশেষ করে দেশটিতে তাপীয় কয়লা রপ্তানি হয়েছে বেশি। বিদু্যৎ উৎপাদনে এটি ব্যবহার হয়।

তবে এশিয়ার হেভিওয়েট রপ্তানিকারক ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে বাজারদরে প্রতিযোগিতা ধরে রাখা দেশটির কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিযোগী সক্ষমতায় এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাও।

ফেব্রম্নয়ারিতে ভারতে রাশিয়ার তাপীয় কয়লা রপ্তানি কমে ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৯৩৫ টনে নেমেছে, জানুয়ারিতে যা ছিল ১০ লাখ ৬০ হাজার টন। ফেব্রম্নয়ারিতে দেশটি দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন কয়লা রপ্তনি করেছে।

সম্প্রতি রাশিয়ার খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, ভারতে তাপীয় কয়লা রপ্তানি করে কোনো ধরনের অর্থ উপার্জন করা তাদের কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাহাজ ভাড়া বাড়ায় লাভের পরিমাণ শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। আরগাস মিডিয়ার দেয়া তথ্য বলছে, প্রতি কেজিতে ৪ হাজার ২০০ কিলোক্যালোরির প্রতি টন ইন্দোনেশিয়ান কয়লার দাম গত সপ্তাহে ছিল ৫৮ ডলার ১৭ সেন্ট। গত বছরের নভেম্বর থেকেই সংকোচনের মুখে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ান কয়লার মূল্য, গত বছরের জানুয়ারিতে যা আকাশচুম্বী ছিল। ওই সময় প্রতি টন লেনদেন হয়েছিল ৮৭ ডলার ৫৫ সেন্টে। ৫ হাজার ৫০০ কিলোক্যালরির প্রতি টন অস্ট্রেলিয়ান কয়লার দাম গত সপ্তাহে ছিল ৯৫ ডলার ৭৭ সেন্ট, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৯৬ ডলার ৬৬ সেন্ট। নভেম্বর থেকে এটি ৯৩-৯৬ ডলারে লেনদেন হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ান ও অস্ট্রেলিয়ান কয়লার দাম কমে যাওয়ার অর্থ বাজারে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে রাশিয়াকেও কম দামে কয়লা রপ্তানি করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে