শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, অবকাঠামো এবং জাহাজ নির্মাণে অগ্রগতির কারণে ২০২৭ সালের মধ্যে ইস্পাতের চাহিদা ১৫ মিলিয়ন টন (এমটিপিএ) হবে। এছাড়া সিমেন্ট শিল্পে ২৫ মিলিয়ন টন (এমটিপিএ) ক্লিংকার চাহিদা হবে। এসব শিল্পের কাঁচামাল সংগ্রহই হবে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ।
তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনীয় সরবরাহ ঠিক রাখতে আন্তর্জাতিক তথা আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রয়োজন।
মঙ্গলবার দুপুরে হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক ট্রেড সামিট বাংলাদেশ-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, এ শিল্পের আরেক সমস্যা বিদু্যৎ। আমাদের ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদু্যৎ সেক্টরের বেশির ভাগই অনবায়নযোগ্য শক্তি উৎসের ওপর নির্ভরশীল, যদিও এটি দ্রম্নত নবায়নযোগ্য পরিচ্ছন্ন এবং সবুজ শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশে গড়ে প্রায় ৭ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ১৭২ মিলিয়ন জনসংখ্যার এই দেশে একটি বড় ভোক্তা বাজার এবং বিশাল জনসম্পদ রয়েছে। ভৌগোলিক এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ চীন, জাপান, ভারত, কোরিয়ার মতো উন্নত ও বৃহৎ দেশগুলো থেকে বড় আকারে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সহযোগিতা পায়। বাংলাদেশের প্রধান শিল্প টেক্সটাইল ছাড়াও অন্য মূল শিল্পগুলোতে নজর দেওয়া হচ্ছে।
দু'দিনব্যাপী কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে সামিটটি উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও পিএইচপি ফ্যমিলির চেয়ারম্যান আলহাজ সুফি মুহম্মদ মিজানুর রহমান।
সামিটে দেশ ও বিদেশে ব্যবহৃত লৌহ ও ইস্পাত, সিমেন্ট এবং পাওয়ার পণ্যের বিশ্বব্যাপী সম্ভাবনা, গুণগতমান, বর্তমান টেকসই প্রযুক্তি, আধুনিক মার্কেটিং পলিসি ইত্যাদি বিষয়ে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা একাধিক বিশেষ সেশনে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য রাখেন। তাছাড়া এ শিল্পের ওপর বিশেষজ্ঞরা বেশ কিছু মূল্যবান পেপার উপস্থাপন করেন। চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত এ সামিটে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, বেলজিয়াম, ইতালি, ভিয়েতনাম, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, অস্ট্রিয়া, তাইওয়ান, চীন, জাপান ও বাংলাদেশসহ প্রায় ২৫টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।