সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

নকলে সয়লাব প্রসাধনীর বাজার

দেশি-বিদেশি বিখ্যাত সব ব্র্যান্ডের প্রসাধনীর পরিত্যক্ত কৌটাতে নকল প্রসাধনী ঢুকিয়েও বিক্রি করা হচ্ছে। আবার বিদেশ থেকে নকল মোড়ক এনেও তৈরি করা হচ্ছে কসমেটিকস পণ্য
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
  ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
নকলে সয়লাব প্রসাধনীর বাজার
নকলে সয়লাব প্রসাধনীর বাজার

মানুষের সৌন্দর্য সচেতনতা বাড়ার কারণে বাড়ছে প্রসাধনী সামগ্রীর ব্যবহার। ফলে ব্যাপকহারে বাড়ছে প্রসাধনী পণ্যের চাহিদা।

চাহিদার সঙ্গে পালস্না দিয়ে বেড়েছে ভেজাল, নকল, মানহীন, অনুমোদনহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী সামগ্রী। দেশে ওষুধ ও কসমেটিকস আইন প্রণয়ন হলেও নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে প্রসাধনী শিল্পের বাজার।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশে কিছু অসাধু চক্রের সমন্বয়ে নকল, ভেজাল, মানহীন কসমেটিকস পণ্য উৎপাদন হচ্ছে। রাজধানী ঢাকার চকবাজার, মৌলভীবাজার, কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মানিকগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে নকল কসমেটিকস তৈরির কারখানা। চরম গোপনীয়তার সঙ্গে এসব কারখানায় চলে নকল পণ্য উৎপাদনের মহোৎসব। এরপর তা ছড়িয়ে দেওয়া হয় ঢাকাসহ সারা দেশে।

পুরান ঢাকার চকবাজার, মৌলভীবাজারসহ বিভিন্ন মার্কেটে প্রকাশ্যেই বিক্রি হয় বিভিন্ন নামি-দামি ব্রান্ডের নকল প্রসাধনী। ভোক্তা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রায়ই এসব স্থানে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানাও করা হয়। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ভোক্তা অধিদপ্তরের সদ্য সাবেক ডিজি বলেন, বাংলাদেশে এমন কোনো কসমেটিকস পণ্য নেই যা নকল হয় না।

অপরদিকে বিদেশ থেকে চোরাই পথে দেশে বিপুল পরিমাণ মানহীন প্রসাধনী প্রবেশ করছে। অবৈধভাবে কিংবা লাগেজে যে পণ্যগুলো আসছে, সেগুলোর কোথাও আমদানিকারকের কোনো তথ্য থাকে না, থাকে না বিএসটিআই লোগো।

এছাড়া দেশি-বিদেশি বিখ্যাত সব ব্র্যান্ডের প্রসাধনীর পরিত্যক্ত কৌটাতে নকল প্রসাধনী ঢুকিয়েও বিক্রি করা হচ্ছে। আবার বিদেশ থেকে নকল মোড়ক এনেও তৈরি করা হচ্ছে কসমেটিকস পণ্য। দেশি-বিদেশি কসমেটিকসের কোনটি আসল আর কোনটি নকল, তা নিশ্চিত করা কঠিন।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী দেশের নকল কসমেটিকসের বিষয়ে বলেন, যে পণ্যগুলো কাস্টমসের মাধ্যমে দেশে আসে সেগুলো ছাড়া বিদেশ থেকে আসা বেশির ভাগ পণ্যই ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে হাটে-মাঠে-ঘাটে, বাস-ট্রেনে হকাররাও বিভিন্ন নকল পণ্য বিক্রি করে। ব্র্যান্ডের কোনো পণ্যের নামের বানান একটু এদিক-সেদিক করে হুবহু নকল করা হয়। ব্যবহার করার পর খালি কৌটা সংগ্রহ করে তাতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ভেজাল পণ্য।

দেশে কী পরিমাণ কসমেটিকস পণ্য নকল ও ভেজাল হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশে ব্যবহার করা কসমেটিকস পণ্যের আনুমানিক ৪০ শতাংশ নকল, মানহীন কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণ থাকে। এসব পণ্য ব্যবহারের ফলে নানা ধরনের ত্বকের সমস্যায় পড়তে হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে