লেনদেন খরা ও মন্দা অবস্থা থেকে বের হওয়ার আভাস দিচ্ছে দেশের শেয়ারবজার। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে প্রধান মূল্যসূচক। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। ফলে সিএসইতেও বেড়েছে মূল্যসূচক। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে টানা দুই কার্যদিবস শেয়ারবাজারে মূল্যসূচক বাড়লো।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত। তবে লেনদেনের শেষদিকে কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কমেছে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২২৫ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১০০টির এবং ৭৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২০ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২০৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৯৩১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় শূন্য দশমিক ৩৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ১৬৬ পয়েন্টে।
মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৭৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২৮২ কোটি ১৯ লাখ টাকা।