শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২

পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমাল আইএমএফ

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
  ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমাল আইএমএফ

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস হ্রাস করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। হালনাগাদ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাসে দেশটির প্রবৃদ্ধি নিয়ে নতুন এই পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

আইএমএফে বলেছে, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ শতাংশ; ৩ মাস আগে দেওয়া তাদের আগের পূর্বাভাসে ৩ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল আইএমএফ। সেই সঙ্গে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৪ শতাংশে অপরিবর্তিত রেখেছে তারা।

ঠিক কী কারণে পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস হ্রাস করা হয়েছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলেনি আইএমএফ। তবে দ্য ডনের সংবাদে বলা হয়েছে, তুলার উৎপাদন কমে যাওয়া এবং শিল্পোৎপাদনের গতি কমে যাওয়ায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পাকিস্তানের অর্থনীতি কয়েক বছর ধরেই ধুঁকছে। ২০২৩ সালে দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার ৩৮ শতাংশে উঠে গিয়েছিল। খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ৪৮ শতাংশ। পাকিস্তান পরিসংখ্যান বু্যরোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২-২৩ সালে দেশটিতে খাদ্য, বিদু্যৎ থেকে শুরু করে রান্নার গ্যাস্ত হু হু করে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম। সেই প্রতিবেদনে অনুযায়ী, এক বছরে পাকিস্তানের শহরাঞ্চলে টমেটোর দাম ১৮৮ শতাংশ, পেঁয়াজের দাম ৮৪ শতাংশ, সবজির দাম ৫৫ শতাংশ, মসলার দাম ৪৯ শতাংশ, চিনির দাম ৩৭ শতাংশ ও আলুর দাম ৩৬ শতাংশ বেড়েছিল। গ্যাসের দাম বেড়েছিল ৩১৯ শতাংশ। বিদু্যতের দাম ৭৩ শতাংশ। শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে অনেকটা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার কারণে পাকিস্তান ঋণের বোঝায় ডুবে গিয়েছে। সরকারি আয়ের ৬০ শতাংশ ঋণের সুদ পরিশোধে চলে যাচ্ছে। চলতি বছরসহ আগামী পাঁচ বছরে প্রায় ৭০ বিলিয়ন বা ৭ হাজার কোটি ডলার বিদেশি ঋণ শোধ করতে হবে, যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে আছে মাত্র ১১ বিলিয়ন বা ১১ হাজার ৪৫০ কোটি ডলার।

এ অবস্থায় বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, দেশটির উচিত হবে ঋণখেলাপি ঘোষণা দিয়ে অর্থনীতি পুনর্গঠন করা। ঠিক যেমন শ্রীলঙ্কা করেছে। কেউ কেউ আবার দেশটিকে আইএমএফের তিন বছরের কৃচ্ছ্রসাধন কর্মসূচি মেনে চলতে বলছেন। তবে যে পদ্ধতিই তারা গ্রহণ করুক না কেন, এতে মানুষের কষ্ট বাড়বে, কিন্তু সমস্যার স্থায়ী সমাধান দেবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে