বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

টানা পাঁচ কার্যদিবসে পতন শেয়ারবাজারে

অর্থ-বাণিজ্য রিপোর্ট
  ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
টানা পাঁচ কার্যদিবসে পতন শেয়ারবাজারে
টানা পাঁচ কার্যদিবসে পতন শেয়ারবাজারে

দেশের শেয়ারবাজারে অব্যাহত দরপতন চলছেই। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবারও (২৮ জানুয়ারি) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচক কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে টানা পাঁচ কার্যদিবস বাজারটিতে মূল্য সূচক কমলো।

মূল্য সূচকের পতন হলেও ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান নাম লিখিয়েছে। ডিএসইর মতো অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশি প্রতিষ্ঠান। ফলে এ বাজারটিতে মূল্যসূচক বেড়েছে। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

এর আগে সপ্তাহের প্রথম তিন কার্যদিবস উভয় শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। তবে সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবস দুই বাজারেই দরপতন হয়। চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসেও উভয় শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। টানা চার কার্যদিবস পতনের পর মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টা সূচকের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকে।

তবে দুপুর ১২টার পর দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসতে থাকে। ফলে মূল্য সূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। অবশ্য লেনদেনের শেষ ২০ মিনিটে কিছু প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকা থেকে দাম বাড়ার তালিকায় চলে আসে। এতে দাম বাড়ার তালিকা বড় হয়। তারপরও প্রধান মূল্য সূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৭৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫২টির এবং ৭৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এরপরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১২৬ পয়েন্টে নেমেছে।

অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্‌ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৪৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তবে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৯৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩২৮ কোটি ৩১ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৪৪ কোটি ৩ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ১৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এডিএন টেলিকমের ১২ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১০ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে