মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ফরিদপুরে ইটভাটার ম্যানেজারের ৩ বছরের কারাদন্ড 

ফরিদপুর প্রতিনিধি
  ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ২০:৫৩

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের ঈশ্বরদী তারাইল গ্রামের মামুন শিকদারকে একটি ইটভাটায় ম্যানেজার থাকাকালীন অর্থ আত্মসাতের মামলায় আদালতের রায়ে ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

দন্ডপ্রাপ্ত ব্যাক্তি ওই গ্রামের মৃত মজিবর শিকদারের ছেলে। বুধবার বিজ্ঞ জডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে প্রায় ২ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা অর্থ আত্মসাতের দায়ে মামলার বিজ্ঞ বিচারক তাকে এ সাজা প্রদান করেন। রায় ঘোষনার পরে বিকেলে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, দন্ডপ্রাপ্ত মামুন শিকদার স্থানীয় এম.আর.বি ব্রিক্স নামে একটি ইটভাটায় ২০১২ সাল থেকে প্রায় ২ বছর পর্যন্ত ম্যানেজার হিসেবে থাকাকালীন দীর্ঘ্য সময় দায়িত্ব পালন করার সময় সুকৌশলে বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাত করে আসছিলেন। বিষয়টি নজরে আসলে এম.আর.বি ইটভাটার স্বত্তাধিকারী মোকলেসুর রহমান সুমন অভিযুক্ত মামুনকে সমুদয় হিসাব বুঝিয়ে দিতে বলেন। কিন্ত মামুন কোনরুপ হিসাব না বুঝিয়ে নানাভাবে টানবাহানা করতে থাকে।

এক পর্যায়ে ইটভাটার তহবিল থেকে বিপুল পরিমান অর্থ নিয়ে সটকে পড়ে। বিষয়টি গন্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে স্থানীয়ভাবে আপোস মিমাংসার চেষ্টা করা হয়। কিন্ত মামুন কোন আপস মিমাংসা না করে আত্মসাতকৃত টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে।পরে বাধ্য হয়ে স্বত্তাধিকারী মোকলেসুর রহমান সুমন বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পরে পুলিশ দীর্ঘ্যদিন তদন্তের পর ২ কোটি ৪৫ লক্ষ ৮৮ হাজার ৭,শ টাকা আত্মসাত করেছে মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হয়েছে বলে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানী শেষে বাদী ও স্বাক্ষীদের জবানবন্দিতে সন্দেহাতীতভাবে দোষী প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারিক আদালত তাকে ৩ বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং ১ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদন্ড প্রদান করে।

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আঃ মোতালেব মাতুব্বর বলেন, অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ওই ম্যানেজার মামুন শিকদারের সাজার আদেশ দেওয়া হয়েছে।সঠিক রায়ে ন্যায় বিচার পাওয়ায় আমরা খুশি।এতে বিচারের প্রতি মানুষের যথেষ্ট আস্থা আরও বাড়বে।

এ বিষয়ে মামলার বাদী মোকলেসুর রহমান সুমন জানান, পরিকল্পিতভাবে আমার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল পরিমান টাকা মামুন শিকদার আত্মসাৎ করেছে। দীর্ঘ শুনানী শেষে মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের জবানবন্দিতে সে দোষী সাভ্যস্ত হওেয়ায় বিজ্ঞ আদালত তাকে এ রায় প্রদান করেছে। রায়ে আমি সন্তুষ্ট এবং এতে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।মামলার বিচার কার্য থেকে বিরত রাখতে সে আমার ক্ষতিসাধন করার জন্যও প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে । যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে