বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কেরানীগঞ্জে বর্ণিল পিঠা উৎসব

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
  ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:৩২

স্নিগ্ধ শীতের সকালে, পড়ন্ত দুপুরে কিংবা আবছায়া গোধূলির ফুরফুর মেজাজে পিঠা খেতে কার না ভালো লাগে! শুধু এক প্রকার নয়, হরেক রকমের পিঠার আয়োজন যদি হয়ে থাকে কোনো স্টলে! হ্যাঁ, এমনই আয়োজন ছিল ঢাকার কেরানীগঞ্জে।

বাংলা ও বাঙালির ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে সরকারি ইস্পাহানী কলেজে এই বর্ণিল পিঠা উৎসবের আয়োজন করে ঢাকাইয়া কেরানীগঞ্জ সমিতি। এসময় হরেক রকমের পিঠার সমাগমে পিঠার উৎসবে মেতে উঠেছিল পুরো উপজেলাবাসী।

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকালে এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকাইয়া কেরানীগঞ্জ সমিতির সভাপতি সাহিদুল হক সাহিদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকাইয়া কেরানীগঞ্জ সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক চাঁন মিয়া, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক লিপি বেগম, কৃষিবিদ মোসলেম উদ্দিন, ঢাকাইয়া কেরানীগঞ্জ সমিতির সদস্য আইয়ুব ব্যাপারী, তুহিন চৌধুরী, সায়মন চৌধুরী, রিয়াজ আহমেদ সহ কেরানীগঞ্জের নানা শ্রেণির লোকজন।

তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মুসকান বলে, এসব পিঠার মধ্য থেকে বেশকিছু পিঠা আমি আগে খেয়েছি। বাকি অনেক পিঠা আজ প্রথম দেখলাম। আমার অনেক ভালো লাগছে। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুলতানা বলে, প্রথমবার আমি এত পিঠা দেখলাম। পিঠাগুলো খেতেও অনেক মজা।

পিঠা উৎসবে নিজের শিশুসন্তানকে নিয়ে বসে ছিলেন কামরুন্নাহার সাথী নামে এক অভিভাবক। তিনি বলেন, আমার ছেলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। অনেক রকমের পিঠা ঢাকাইয়া কেরানীগঞ্জ সমিতির তৈরি করেছে। সন্তানদের পাশাপাশি আমরাও পিঠাগুলোর সঙ্গে পরিচিত হতে পারলাম।

ঢাকাইয়া কেরানীগঞ্জ সমিতির সভাপতি সাহিদুল হক সাহিদ বলেন, পিঠা উৎসব এ দেশের সংস্কৃতির অংশ। গ্রামগঞ্জে আগে এগুলো হতো। তবে সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণে পিঠা উৎসব চার দেয়ালের মধ্যে এসে গেছে। তিনি বলেন , আমাদের দেশের সংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ। পিঠা উৎসবও দেশের বাঙালি জীবন চর্চার অংশ। যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে