ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সুফিয়া বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধুকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

ঘটনাটি ঘটে রোববার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলা পুখুরিয়া গ্রামে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এ সময় হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে জড়িত থাকা সন্দেহে সজিব নামে একজনকে আটক করে পুলিশ।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে গফরগাঁও ভালুকা সড়কে বাইপাস মোড়ে সুফিয়া বেগম ও সুর্যত আলীর জমি নিয়ে তর্কাতর্কি শুরু হলে ঘটনাস্থলে সুর্যত আলী, আকরাম, আশরাফুল, হেকমত, আজিজুলসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সুফিয়া বেগমকে এলোপাথারী কুপিয়ে আহত করে।

আহত অবস্থায় সুফিয়া বেগম দৌড়ে দক্ষিণ পুখুরিয়া নিজ বাড়ীতে বাথরুমে আশ্রয় নিলে সেখানে সুর্যত আলীর নেতৃত্বে ৭-৮ জন মাথায় কুপিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত যখম করে। এ সময় সুফিয়া বেগমের ঘর-বাড়ী ভেঙে ফেলা হয়। পরে স্থানীয়রা সুফিয়া বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

সেই চিনি এতিমখানায়

সুফিয়া বেগমের ভাই মনির উদ্দিন বলেন, আমার বোনকে যারা হত্যা করেছে আমি তাদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবী করছি।

নিহত সুফিয়া বেগমের স্বামী সিরাজ উদ্দিন বলেন, সুর্যত আলী, আকরাম, আশরাফুল, হেকমত, আজিজুল ও তার লোকজন আমার পৈতৃক সম্পত্তিতে দোকান ঘর করে ব্যবসা করছে। আমার স্ত্রী ও আমি দীর্ঘদিন যাবৎ বাধা দিলেও তারা জোর করে আমার জমির উপরে দোকান ঘর করে ব্যবসা করছে।

রবিবার সকালে আমার স্ত্রী আবারও বাধা দিতে গেলে তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এবং আমার নিজের সম্পত্তির উপরে জোর পূর্বক ঘর করা লোকজন ক্ষমতাসীন দলের লোক। তাই কোথাও বিচার পাইনি। আল্লাহ ছাড়া স্ত্রী হত্যার বিচার কার কাছে চাইব।

গফরগাঁও থানার ওসি মোঃ ফারুক আহম্মেদ বলেন, হত্যাকান্ডের ঘটনায় হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকা সন্দেহে সজিব নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। যাযাদি/ এম