সারাদেশ

গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে এক সৌদি আরব প্রবাসীর ১৭ লাখ টাকা ও মোবাইল লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তার নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তপু চন্দ্র ঘোষকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ মে) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্তে সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি তপু চন্দ্র ঘোষকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো।’ ২০১৯ সালের জুলাইতে জেলা ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হলে ওই কমিটিতে ছাত্রলীগের সহসভাপতির পদ পান তপু।

জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল দুপুরে বন্দর উপজেলার হাজী সাহেবের মোড় এলাকায় প্রবাসী উজ্জল হোসেনের ১৭ লাখ টাকা ও একটি আইফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ঘটনার ২ দিন পর প্রবাসী উজ্জল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ১৩ মে গভীর রাতে সোনারগাঁ থানার মোগড়াপাড়া এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তপু চন্দ্র ঘোষ সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত তপু চন্দ্র ঘোষ সোনারগাঁ থানার ছোট অজুর্নদী এলাকার সাধব চন্দ্র ঘোষের ছেলে। তার বাকি সহযোগীরা হলেন- সোনারগাঁ থানার বড়নগর এলাকার শুবংকর চন্দ্র রাজ বংশী ছেলে কৃষ্ন চন্দ্র রাজ বংশী (৩২), বগুড়া জেলার শেরপুর থানার খাজা আশ্রমপাড়া এলাকার চাঁন শেখ মিয়ার ছেলে এরশাদ (২৪), ছোট অজুর্নদী এলাকার জাকির হোসেন মিয়ার ছেলে রোহান (২১)। পরে গ্রেপ্তারকৃতরা নারায়ণগঞ্জের চীফ জুডিসিয়াল আমলী আদালতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী প্রদান করেছে।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ও বন্দর পুলিশ ফাঁড়ী পরিদর্শক রেজাউল করিম জানান, ‘ঘটনাস্থলের সিসি টিভি ক্যামেরা, কল রেকর্ড, সিএনজি চালকের বয়ান, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান শনাক্তসহ নানা বিষয় তদন্ত করেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটির সাথে ৬ জন জড়িত ছিল, কে কত টাকার ভাগ পেয়েছে, কার কি ভূমিকা ছিল; এটার প্রমান রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে।

যাযাদি/ এসএম