মোরেলগঞ্জে হঠাৎ জেঁকে বসা শীতের কারণে দুর্ভোগে পড়েছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছিন্নমূল মানুষেরা পড়েছে বেশি বিপাকে। শীত তাড়াতে তাদের অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে সাময়িকভাবে একটু প্রশান্তি খোঁজার চেষ্টা করছে। দরিদ্র ও শ্রমজীবীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। শীতের সঙ্গে মৃদু ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। শনিবার সন্ধ্যার পর ও রবিবার সকালে ছিন্নমূল মানুষগুলোকে পথের ধারে খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে খেটে খাওয়া মানুষদের।
এদিকে হিমেল হাওয়া আর কুয়াশা প্রবাহে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয় এবং ছিন্নমূল খেটে খাওয়া মানুষেরা। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে তারা দুর্ভোগে পড়েছে। শীত নিবারণের জন্য কম দামে শীতবস্ত্র কিনতে নিম্ন এবং মধ্যবিত্তরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে।
বিশেষ করে ছিন্নমূল এবং নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোতে শিশু ও বয়স্করা বিপাকে পড়েছে বেশী। গরম কাপড় না পাওয়ায় শীতে আক্রান্ত হয়ে অনেকে অসুস্থ হয়েও পড়ছে। ফলে বাড়ছে শীতজনিত রোগের মাত্রাও।
তবে সরকারি উদ্যোগে ইতিমধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। সেগুলো এখনও সকলের মাঝে পৌছায় নি,ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ। আগামী কয়েক দিনে শীত আরো বাড়লে এসব মানুষের ভোগান্তিও বাড়বে ব্যাপক হারে।
পৌর শহরের বাসিন্দা নাসিমা বেগম বলেন, ঠান্ডায় ও বাতাসের কারণে বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে আমরা খুব কষ্টে আছি। আমরা আগুন পোহাচ্ছি। আগুন যত সময় পোহাচ্ছি তত সময় ভালো আছি আগুন থেকে উঠে গেলে আমাদের কষ্ট হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমরা কোন সাহায্য সহযোগীতা পাইনি। আমাদের লেপ তোশক ফ্রি দিতে পারেন না?
আরেক বাসিন্দা বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত শীতের কোন সাহায্য পাই নাই। তাই আমরা এখানে আগুন পোহাচ্ছি।
ভ্যান চালক শাহিন বলেন,শীতে ভ্যান চালাতে খুবই কষ্ট হয়। ভোরে ভ্যান চালাতে পারিনা শীতের কারণে। তবে আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি এ মাস জুড়ে শীতের প্রকোপ আরো বৃদ্ধি পাবে।
সরকারি কম্বল বিতরনের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল জাবির জানান, হতদরিদ্র মানুষের জন্য ইতিমধ্যে আমার দপ্তর থেকে উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের কাছে কম্বল পাঠানো হয়েছে তারা নিজ নিজ এলাকায় বিতরন করবেন।
যাযাদি/ এসএম