রমজানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি লাগামহীন হওয়ায় খুবই কঠিন সময় পার করছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। রমজানে তাদের মাসিক ব্যয় ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকার মতো বেড়ে যাওয়ায় সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা যায়, বেশিরভাগ পণ্যের দাম কেজিপ্রতি ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। রমজান মাসের শুরুতেই মাছের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, লাল মোরগ ১০০ টাকা ও সাদা মুরগির গোশতে ১৫ থেকে ২০ টাকা, ছোলা, মসুর ডাল, পেঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আপেল, মাল্টা সহ কিছু ফল প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি দরে।
ছমির আলী, শাহাদাদ হোসেন সহ আরো অনেকের সাথে আলাপ করে জানা যায়, চাল ও ভোজ্যতেলের দাম আপাতত স্থিতিশীল। তবে সংসার খরচ শুধু বাজারের খরচের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ওষুধ (স্বাস্থ্য), পানির বিল, গ্যাসের বিল, বিদ্যুৎ ও বাড়ি ভাড়া সহ প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই মানুষকে অতিরিক্ত ব্যয় করতে হচ্ছে। রমজানে ইফতার ও সেহরির সময় যে খাবার খাওয়া হয়, তাতে অন্য সময়ের থেকে মাসে খাবার খরচ বেশি হয়।
আলাল মিয়া, জিতু মিয়া সহ আরো অনেক ব্যবসায়ী জানান, রোজা আসলে আগের দামে আর মালা মাল ক্রয় করা যায় না। বেশি দামে মাল ক্রয় করলে তো বেশি দামে মাল বিক্রয় করতে হবে। আমাদের ক্রয় করা দাম অনুযায়ী মাল বিক্রয় করে থাকি। আমরা বেশি দামে মাল বিক্রয় করছি না।
যাযাদি/ এম