শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের

সোনাইমুড়ীতে কষ্টার্জিত অর্থে সম্পত্তি কিনে বিপাকে এক পরিবার

সোনাইমুড়ী নোয়াখালী প্রতিনিধি
  ২৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৪
সোনাইমুড়ীতে কষ্টার্জিত অর্থে সম্পত্তি কিনে বিপাকে এক পরিবার

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে কষ্টার্জিত অর্থে সম্পত্তি কিনে বিপাকে পড়েছে এক পরিবার। ওই সম্পত্তিতে সন্ত্রাসীদের চাঁদা দাবি,হুমকি-ধুমকিতে যেতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছে ওই পরিবার।

এই ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে উপজেলার রথী গ্রামের মাহফুজুল হকের স্ত্রী নাজমা আক্তার গত ১৩ মার্চ নোয়াখালী পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এরপরেও অব্যাহত হুমকিতে জীবনে নিরাপত্তা চেয়ে সোনাইমুড়ী থানায় গত ২২ মার্চ আবারো ওই মহিলা একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। যার নং -১২৩৮।

লিখিত অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে,বিগত ২০০৯ সালের ১৫ অক্টোবর ৬০৫১/০৯ সাপ কবলা দলিল মূলে ২৮৫ নং সোনাইমুড়ী মৌজায় ২৫ ৩৭ নং দাগে সাড়ে বারো শতাংশ সম্পত্তি খরিদ কারেন নাজমা বেগমের স্বামী। এরপর থেকে ওই সম্পত্তিতে চাষাবাদ করে ভোগদখল আসছেন। ওই সম্পত্তিতে নাজমা বেগম ১৩ মার্চ সকালে সিমেন্টের পিলার দিয়ে সীমানা প্রাচীন নির্মাণ করছিলেন। এ সময় সোনাইমুড়ী গ্রামের মৃত লকিয়ত উল্লাহর পুত্র ভূমিদস্যু কামাল হোসেন তার অপর সহযোগী ৮-১০ জন এসে সীমানা পাঁচীর নির্মাণে বাধা দেয়। একপর্যায়ে এখানে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে হলে সে নির্দিষ্ট অংকের টাকা দাবি করে বলে ভুক্তভোগী জানায়। দাবিকৃত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ওই মহিলাকে ভূমিদস্যু গংরা অকথ্য ভাষায় গালমন্দ, ভয় ভীতি প্রদর্শন, হুমকি ধমকি দেন।

এরপরেও অব্যাহত হুমকি দেয়ায় ২২ মার্চ সোনাইমুড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগী নাজমা বেগম।

এছাড়াও,ভূমিদস্যু কামাল গংদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে উপজেলার পশ্চিম দৌলতপুর গ্রামের ওমান প্রবাসী হারুনুর রশিদের স্ত্রী রহিমা বেগম।তিনি ২০০৮ সালে সোনাইমুড়ী মৌজায় ১৫ শতাংশ সম্পত্তি কিনেছেন।কামাল ও তার সহযোগিরা জাল দলিল সৃজন করে সম্পত্তি দাবি করে দখলে নেয়।এই ঘটনায় তিনি ২০২২ সালে নোয়াখালী আদালতে প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন,এ চক্রটি ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে বিভিন্ন লোকজনের কাছে জমির মালিকানা দাবি করে। বহু লোককে হয়রানিও করেছে। তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের কয়েকটি মামলা ও অভিযোগ রয়েছে।

ভুক্তভোগী নাজমা বেগম অভিযোগ করে জানান, এই এলাকার অনেক মানুষ কামালগংদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। সে অতি কষ্ট করে তার স্বামীর টাকা দিয়ে সম্পত্তি কিনেছেন। এখন তার সম্পত্তিতে জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীর দিয়ে কিছু সম্পত্তি দখলে নিয়েছে কামাল গংরা।এখন উল্টো এ সম্পত্তিতে গেলে তাকে টাকা দিতে হবে বলে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।

সোনাইমুড়ী থানার এসআই সুভাষ দাস জানান, নাজমা বেগম নামে এক মহিলা এসপির কাছে দরখাস্ত দিয়েছেন।বিষয়টি আমরা দেখছি।

সোনাইমুড়ী থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, পরে মহিলাটি থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছেন।

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে