মেঘনায় জাল দলিলে প্রতি বছর শত কোটি টাকার জমি হাতিয়ে নিচ্ছে একটি জালিয়াতি চক্র। প্রকৃত জমির মালিক জানে না তার জমি বিক্রি হয়ে গেছে।

গত (২৮ জানুয়ারি) এমনি এক ঘটনা ঘটে মেঘনা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে চরপাথালিয়া মৌজার রামনগর ছোয়ানীর সোহেল মিয়ার ৪৯ শতক জমি বিক্রি করে দেন লুটেরচর ইউনিয়নের জসিম মিয়ার কাছে যাহার দলিল নং ৮০৭৭২১২।

এ চক্রের দৌরাত্মে রেকর্ডীয় সাধারণ জমির মালিকরা চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। ভুক্তভোগীরা বলছেন দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পিতভাবে আইনের ফাঁকফোকরে ভূমি অফিস ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের যোগসাজশে নিজেরাই দাতা গ্রহীতা সেজে জাল দলিল করছে। অনুসন্ধানে জানা যায় এসব জমির মূল্য কয়েক কোটি টাকা।

এসব অপকর্মের সিংহভাগের সঙ্গেই মেঘনা সাব-রেজিস্টার ও দলিল লিখক জড়িত বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্তরা। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে দলিল লিখক আল-আমিন যাহার সনদ নং-২৪ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন একটি দালাল চক্র এ ধরনের কাজটি করেছে কাগজপত্র সঠিক দিয়েছে কিন্তু দাতা ভুয়া ছিল। পরে যখন জানতে পারি কাগজপত্র ভুয়া তখন দলিল বাতিল করা হয়েছে।

মোস্তাফিজুর রহমান শামীম কুষ্টিয়া জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক

মেঘনা সাব-রেজিস্টার মুক্তা সুলতানাকে একাদিক বার ফোন করা হলেও ফোনটি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে দলিল লেখক আল-আমিনের নামসহ ৭ জনের নামে ভুক্তভোগী মেঘনা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

যাযাদি/ এম