বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

কালীগঞ্জ পুলিশি বাধার পরও বিএনপির ইফতার মাহফিল

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
  ৩০ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৯
কালীগঞ্জ পুলিশি বাধার পরও বিএনপির ইফতার মাহফিল

পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে ইফতার মহফিল করেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি। শনিবার উপজেলা শহরের নলডাঙ্গা সড়কে বিএনপি এ মাহফিলের নির্ধারিত দিন ছিল। ইফতার মাহফিল সফল করতে আয়োজকদের পক্ষ থেকে সব কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে ছিল। তার আগেই কালীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মাহফিল বন্ধের নির্দেশ দেন। মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

তবে পুলিশের নির্দেশ দেওয়ার পরও সেখানে তিন শতাধিক নেতাকর্মী অবস্থান নেন। এরপর সেখানে নতুন করে আর কোন নেতাকর্মী প্রবেশ করতে দেয়নি পুলিশ। শেষ পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা সেখানে ইফতার মাহফিল করেন।

ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন খুলনা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত, ঝিনাইদহ জেরা বিএনপির সভাপতি এমএ মজিদ, খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগফনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমান কুন্ডু, কেন্দ্রী ড্যাব নেতা ইব্রাহিম রহমান বাবু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকদলের সিনিয়র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদসহ জেলা উপজেলা নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনায় বিকালে বিএনপির দপ্তর সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী এক ভিডিও বার্তায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, পুলিশ সেখানে অবস্থান নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। বর্তশান ডামি সরকারের পুলিশ বাহিনী ইফতার মাহফিল দোয়া অনুষ্টানের বাধা সৃষ্টি করে। শহরের মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেন নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হতে না পারে। তারা ধর্মীয় কর্মসূচীতে বাধা দিয়ে বর্তমান সরকার স্বৈরাচার সরকার তা আবারো প্রমাণ করেছে। তিনি সেখান থেকে ইফতারের আগেই পুলিশ বাহিনীকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশানের প্রতি আহবান জানান।

তবে, পুলিশের দাবি ইফতার মাহফিল আয়োজনের জন্য পুলিশের কাছ থেকে কোন অনুমোতি নেওয়া হয়নি। ফলে আইনশৃঙখলার অবনতি ঘটার আশংকায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও বিএনপির দ্বায়িত্বশীল নেতারা বলছেন আমরা মাহফিল আয়োজনের এক সপ্তাহ আগেই জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় অনুমোতির জন্য আবেদন করেছিলাম।

কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকদলের সিনিয়র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক হাদিুল ইসলাম হামিদ জানান, আমরা মাহফিল আয়োজনের এক সপ্তাহ আগেই জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় অনুমোতির জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে কোন উত্তর দেওয়া হয়নি। আমাদের নির্ধারিত দিন শনিবার আয়োজন প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল তখন কালীগঞ্জ থানার পুলিশ এসে বন্ধ করে দেন। তারপরও আমরা সেখানে ইফতার করবো বলে যোগ করেন তারা।

কালীগঞ্জ থানার ওসি আবু আজিফ জানান, বড় পরিসরে দলীয় কোন আয়োজন করতে হলে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের অনুমোতি নিতে হয়। কিন্তু তারা কোন অনুমোতি নেননি। অনুমোতি না নিয়েই তারা ওপেন প্লেসে বড় পরিসরে আয়োজন করেছেন। তবে তারা সেখানে পুলিশি নিরাপত্তায় ইফতার মাহফিল সম্পন্ন করেছে।

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে