শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

বরকলে চাষীদের কাছে চাঁদাবাজির অভিযোগ

বরকল (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি
  ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০১
ছবি-সংগৃহিত

রাঙামাটির বরকল উপজেলাতে তামাক বিক্রির নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সম্পর্কে স্থানীয় তামাক চাষী শামীম, সুমন,কামরুলসহ আরো কয়েকজন জানান তামাক বিক্রির নামে বাড়ছে চাঁদাবাজি।

তারা বলেন,গতবছর মাঠপর্যায়ে কাজ করা সুপারভাইজার মো: ফারুক এবং লেবার সর্দার আবুল এরা দুইজন তামাক চাষে জড়িত চাষীদের জিম্মি করে আঞ্চলিক দল ও পুলিশের নাম ভাঙিয়ে লাখ লাখ টাকা চাদা আদায় করেছে। গতবছরের মত এবছরেও দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যাচ্ছে, অনেক তামাক চাষী এমনটাই জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক কয়েকজন কৃষক ছাড়াও শামীম এর সাথে মুঠোফোনে কথা বলে জানাগেছে ,চাষীদের থেকে টাকা আদায়ের ক্ষেত্রেও এদের রয়েছে বিশেষ কৌশল। তারা চাদার পরিমান নির্ধারণ করে দিলেও সরাসরি টাকা নিজেরা নেয় না।তাদের হয়ে এই টাকা কালেকশন করেন লংগদু উপজেলার মাইনীঘাটের লেবার সর্দার আবুল।বরকল এলাকায় উৎপন্ন তামাক বিক্রির জন্য ট্রলার যোগে নৌপথে লংগদু উপজেলার মাইনীঘাটে লেবারদের মাধ্যমে উক্ত মাল ট্রাকে পরিবহন করে খাগড়াছড়ির কোবাখালিতে বিক্রির উদ্দেশ্যে নেয়া হয়।এই কোবাখালি ও বরকলের মধ্যবর্তী মাইনীঘাটেই উত্তোলন করা হয় উক্ত চাদা।

চাদা পরিশোধ না করা পর্যন্ত কোন তামাক চাষীর মাল কোন শ্রমিক আনলোড করে ট্রাকে তুলেন না।তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই প্রতিটা চাষীকে উক্ত চাদা দিতেই হয়। কোন চাষী যদি প্রচলিত নিয়ম না মেনে অন্যকোন উপায় অবলম্বন করতে চায় তাহলে কোবাখালিতে পৌছার পর উক্ত চাষীর নিয়ে যাওয়া পন্য রিজেক্ট করে দেয়া হয়। আর সেই রিজেক্ট করা মাল কোম্পানি ক্রয় না করায় চাষী সর্বস্বান্ত হয়ে যায়।

তারা বলেন,এই সিন্ডিকেট ইচ্ছে করেই ওখানকার কিছু কর্মচারীদের হাত করে অনেক চাষীর সম্পুর্ন মাল রিজেক্ট করায়।পরবর্তীতে সেইসব মাল চাষীরা ফেলে আসলে তারা তা পুনরায় বিক্রি করে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়।এভাবে অত্র উপজেলার অনেক চাষী ঋণগ্রস্ত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে দেখা যাচ্ছে।

এ বিষয়ে সুপারভাইজার ফারুক মুঠোফোনে কথা বলে জানা গেছে, তিনি টাকা নেওয়ার বিষয়ে অবগত নন,কে বা কারা এই কাজ করেন তিনি অবগত নন, এই অভিযোগ তিনি ভিত্তিহীন বলে জানান,অন‍্যদিকে শ্রমিক সর্দার আবুল জানান তারা মাইনি ঘাট থেকে তামাক আনলোড করে ট্রাক বা পরিবহনে লোড বা বোঝাই করার পারিশ্রমিক হিসেবে সর্বোচ্চ ৫৫টাকা নিয়ে থাকেন। এবং অভিযোগের বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।

এই বিষয়ে বরকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফোরকান অনুপম এলাহী জানান,তামাকচাষে সরকার কৃষকদের বারবার নিরোৎসাহী করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।এই চাষে পরিবেশ ও কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। চাঁদাবাজির বিষয়ে কৃষকদের অভিযোগ পেলে যথাযত ব্যাবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে