মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার ৩নং শ্রীকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুতুবুল্লাহ হোসেন মিয়া (কুটি) কে অপসারণের দাবিতে ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও কর্মসূচি করেছে শ্রীকোল ইউনিয়নবাসী ও বিএনপি নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (০১ মে) দুপুরে খামারপাড়া বাজারে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জোয়ার্দার শাহ আলম তুফান, সাবেক বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান খাঁজা, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোঃ হেমায়েত হোসেন, জেলা যুবদলের সদস্য মিলন মন্ডল, উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মোঃ মেহেদী হাসান মুকুল, উপজেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি আলিম খাঁন, যুব নেতা টিপু সুলতান, বিএনপি নেতা তোজাম্মেল জোয়ার্দার, ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক সেলিম মোল্লাসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা।
এসময় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে তার অপসারণের দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন বক্তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, যে দেশের সরকার পালায়ন করেছে, যে দেশে এমপি অবৈধ, যে দেশে উপজেলা চেয়ারম্যান অবৈধ, আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই সেই দেশে ইউনিয়ন নির্বাচন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবেনা? আমরা চাই বাংলাদেশের প্রত্যেকটা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হোক। তা না হলে এদেশের জনগণ আবারো ৫ আগস্টের মত আন্দোলন করবে। আমরা ডিসি ও ইউএনও মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই আপনাদের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার যেন প্রত্যেকটা ইউপি চেয়ারম্যানকে অতি দ্রুত অপসারণ করেন।
বক্তারা আরো বলেন, আওয়ামী আমলে এ দেশের মানুষের ভোটের কোন অধিকার ছিলোনা। দেশের জনগণ যে নির্বাচনে ভোট দিতে পারে নাই, সে নির্বাচন এদেশের জনগণ মানেনা। আওয়ামী আমলে ভোট ডাকাতি করে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে নানান অপকর্মে লিপ্ত হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি যার কারণে আওয়ামী লীগের এসব চেয়ারম্যান আবারো ফ্যাস্টিস্টদের সংঘটিত করছে। বিভিন্ন সময় তারা ফ্যাস্টিটদের অপকর্ম করে প্রতিটি জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। এসব বিশৃঙ্খলা প্রতিহত করতে হলে এই চেয়ারম্যানকে অনতিবিলম্বে অপসারণ করে ইউনিয়ন পরিষদ দূর্নীতিমুক্ত করতে হবে।
এসময় বক্তারা আরো অভিযোগ তুলেন বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে হাট-বাজারে তার বাহিনী দিয়ে অতিরিক্ত টোল আদায় করছেন। উন্নয়নের নামে ব্যবসায়ীদের প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তিনি। এছাড়া ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের দলীয় লোকজনকে সরকারি অনুদান প্রদান ও প্রতিপক্ষের উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগও তোলা হয়।
চেয়ারম্যান কুতুবুল্লাহর মদদপুষ্ট বাহিনীর হাতে খামারপাড়া, দরিবিলা, দাইরপোল, পূর্বশ্রীকোল, টুপিপাড়া, ঝোনগাছা ও দোসতিনা গ্রামের একাধিক ব্যক্তি গুরুতর আহত বা নিহত হয়েছেন। তারা আরোও দাবি করেন, অবিলম্বে এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সকল দূর্নীতির তদন্ত করে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হোক। যেন শ্রীকোল ইউনিয়নে আর কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার সুযোগ না পাই।