সাতক্ষীরার দেবহাটায় নাজমিন নাহার (২৪) নামের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ৩ কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১১ জুন) ভোররাতে উপজেলার কুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গণধর্ষণের শিকার ভিকটিম তরুণী নাজমিন নাহার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের হযরত আলীর মেয়ে।
গণধর্ষণে জড়িতের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার উত্তর কুলিয়ার আব্দুল আলিম কারিকরের ছেলে আব্দুল করিম (১৯), একই গ্রামের মহিদুল ইসলামের ছেলে সাগর হোসেন রাইদ (১৬) ও গোলাম হোসেন সবুজের ছেলে নিরব হোসেন (১৩)।
ভিকটিমের মামা আলমগীর হোসেন জানান, অভিযুক্ত কিশোররা আগে থেকেই তার প্রতিবন্ধী ভাগ্নে নাজমিন নাহারকে চিনতেন।
তারা যোগসাজোশে রবিবার রাতে শ্রীরামপুর থেকে তার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ভাগ্নে নাজমিন নাহারকে কৌশলে ডেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে দেবহাটা উপজেলার উত্তর কুলিয়ার জনৈক বাসিত চৌধুরীর নির্মাণাধীন খামারের পাশে নিয়ে রাতভর জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়।
সারারাত নিখোঁজ থাকার পরদিন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় নাজমিন নাহারকে ওই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে আইনী সহায়তার জন্য থানায় নেন স্বজনরা। পরে ভিকটিমের জবানবন্দি মোতাবেক তার মা সুফিয়া খাতুন বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় মামলা (নং-৪) দায়ের করলে তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
দেবহাটা থানার ওসি সেখ মাহমুদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের এবং অভিযুক্ত তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভিকটিম তরুণীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণ এবং গ্রেপ্তারকৃতদের বিচারার্থে আদালতে সোপর্দের প্রক্রিয়া চলছে।
যাযাদি/ এম