গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে হারুন উর রশিদ নামে এক কসমেটিকস ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। সোমবার (১৫জুলাই) দুপুরের দিকে পৌর এলাকার মাওনা চৌরাস্তার হাজী দুলাল উদ্দিনের মালিকানাধীন ভবনের তৃতীয় তলার উত্তর পাশের ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত হারুন উর রশিদ (৩৩) উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের গোদারচালা গ্রামের হক মিয়ার ছেলে। তিনি মাওনা চৌরাস্তার ইয়াকুব আলী মাস্টার টাওয়ারে রূপসাগর কসমেটিক এন্ড গিফট কর্নারের স্বত্বাধিকারী ছিলেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে একটি সুত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মাওনা চৌরাস্তার হাজী দুলাল উদ্দিনের মালিকানাধীন ভবনের ওই ফ্ল্যাটের ভাড়ায় থেকে ইয়াকুব আলী টাওয়ারে কসমেটিকস ব্যবসা করতেন হারুন উর রশিদ। কিছুদিন ধরে কয়েকজনের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল তাঁর। আজ সকাল গড়িয়ে বেলা ১১টা বেজে গেলেও তিনি দরজা খুলে দোকানে না যাওয়ায় পাশের ফ্ল্যাটের লোকজন ডাকাডাকি করেন। এতে তাঁর কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়ির মালিককে খবর দেওয়া হয় । পরে বাড়ির মালিক পুলিশে খবর দিলে দরজা ভেঙে ঘরে গিয়ে গলায় অর্ধেক গামছা পেচানো অবস্থায় হারুন উর রশিদের লাশ পাওয়া যায়। এসময় তাঁর মাথা ও মুখমন্ডলে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ছিল। তবে, গামছার কিছু অংশ সিলিং ফ্যানের রডের সাথে ঝুলানো অবস্থায় পাওয়া যায়।
সুত্র আরও জানায়, হয়তো আত্মহত্যার পর লাশের ওজন বেশি হওয়ায় গামছা ছিড়ে লাশ নিচে পড়ে যায় হারুন উর রশিদের। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিক চাপে বিকারগ্রস্ত ছিলেন এবং নিয়মিত মদ পান করতেন । ধারণা করা হচ্ছে, লেনদেনের চাপে হতাশায় আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান যায়যায়দিনকে বলেন,' খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে, এটি একটি আত্মহত্যা। শরীরের ওজন বেশি হওয়ায় গামছা ছিড়ে লাশ নিচে পড়েছিল। তবে, তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত জানাতে পারবো। 'যাযাদি/ এস