পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে বালিপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বালিপাড়া পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নেছার উদ্দিনের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিচার চেয়ে স্থানীয় জনতা ও অভিবাবক শিক্ষকবৃন্দ মানববন্ধন করেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্র নেতা সিরাজুল ইসলাম মীর, সাবেক শিক্ষক শওকত হোসেন, অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক মনিরুজ্জামান, আভিবাবক আবুল কালাম তালুকদার সহ এলাকার নেতৃবিন্দ।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার পশ্চিম বারিপাড়া পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে। এই মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয। এলাকার সাধারন জনতা বক্তব্য রাখেন। দির্ঘদিন পর্যন্ত একক ক্ষমতায সকলকে কমিটিকে পাশকাটিয়ে নিয়োগ বানিজ্য,সহ নানা অনিয়ম করে আসছিলতার মতের বিরুদ্ধকারিকে তিনি নানা ভাবে হেনেস্তা করতেন সাকুলের অর্থ আত্মসাত করা সহ অনেক তার বিরুদ্ধর অনেক অভিযোগ রয়েছ।
প্রধান শিক্ষক নেছার উদ্দিনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তিনি স্কুলের দ্বিতীয় তলার তিনটি রুর দখলকরে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছেন, তার বড় ছেলে ইমন স্কুলের রুমের ভিতর অনৈতিক কাজের সময স্থানীয় জনতার হাতে ধরা খেয়ে পরে জেল খেটে সেই মেয়েকে বিবাহ করে মামলা মিমাংসা করে, নবম শ্রেণীর ছাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন এখানে স্যারের ছেলে ইমন মাদকের ব্যাবসা করে, স্যার আমাদের স্কুলের তিন কক্ষ দখল করে নানা রকমকান্ডকরে আছে বিগত সরকারদলিয় লোক হওয়ায় তার কেশ স্পর্ষ করার ক্ষমতা কারও ছিলনা।স্থানিয় অভিবাকগন বলেন বিধি বর্হিভুত ভাবে প্রধান শিক্ষক তার স্ত্রীকে চাকুরিদেন এছারা আরও কয়েকটা নিয়োগ করে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়েেনন।।
তার স্ত্রী বিদ্যালয়ে মাসে দু একবার এসে হাজিরা খাতায় সইকরে জান। এইমুহুর্তে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে আমাদের দাবি এহেন আপরাধের সুষ্ঠ তদন্ত করে কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহন কররার।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক নেছার উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যে। আমি দুইহাজার ১১ সাল থেকে এই বিদ্যালয়টি আমার শ্রম ও মেধা দিয়ে তিলেতিলে গড়ে তুলছি এখন যারা আমাকে হেয় করার জন্য মিথ্যে কথা বলছে তাদের বিচার আমি উপর অলার কাছে দিলাম, আমার স্ত্রীর নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন আমার স্ত্রী এমপিও ভুক্ত শিক্ষক নন, মাঝ মাঝে আসেন তিনি হাইকোর্টে একটি রিট করেছেন আইনি ভাবে ফয়সালা হবে। আর রুম দখলের বিষয়ে তিনি বলেন এটা তখনকার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাহেব রেজুলেশন করে আমাকে থাকতে দিয়েছিলেন, আমি বছর খােনক হল ভাড়া বাসায় আছি।
ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা অতিরিক্ত ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার ও সহকারি কমিশনার ভূমী নাহিদ ইসলাম স্কুলটি পরিদর্শন করেন তিনি সাংবাদিকদের বলেন যাতেকরে স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ নস্ট না হয় সেদিকে সকলের লক্ষ রাখতে হবে কোন অনিয়ম হলে তদন্ত করে সুষ্ঠ সমাধান করা হবে এবং ১২ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষক সহ স্থানীয়দের নিয়ে বসার কথা রয়েছে।
যাযাদি/ এসএম