গত সপ্তাহে আচমকা প্রয়াত হন করিশ্মা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কাপুর। শুক্রবার দিল্লিতে হয় শেষকৃত্য। যাতে হাজির ছিলেন করিশ্মা কাপুর ও তাঁর দুই সন্তান। প্রাক্তন স্বামীর মৃত্যুতে বেশ ভেঙে পড়তে দেখা যায় করিশ্মাকে। যদিও একসময় অভিনেত্রীই দাবি করেছিলেন যে, হানিমুনে গিয়ে নাকি তাঁকে নিজের এক বন্ধুর কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেই এই সঞ্জয় কাপুরই। তাও কেন চোখে জল করিশ্মার, প্রশ্ন তুলেছে নেটপাড়ার বড় একটা অংশ। এমনকী, বিখ্যাত লেখিকা তসলিমা নাসরিনও।
তসলিমা তাঁর পোস্টে আরও লেখেন যে, ‘কারিশ্মাই জানিয়েছেন, হানিমুনের দিন সঞ্জয় নিলামে উঠিয়েছিল তাঁকে। তার (সঞ্জয়ের) এক বন্ধু কিনে নিয়েছিল কারিশ্মাকে। এমন জঘন্য নারীবিদ্বেষী একটা লোক, যে নিজের স্ত্রীকেও ভোগের বস্ত্র ছাড়া আর কিছু মনে করে না, তার জন্য কারিশ্মাকে কাঁদতে হয় কেন? কারিশ্মার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পরই সঞ্জয় আরেকটি বিয়ে করেছে। আরেক মহিলার স্বামীর জন্য কারিশ্মাকে এত আকুল হয়ে কাঁদতে হয় কেন?’
মেয়েরা তাদের অ্যাবিউজার স্বামীকে ভালবাসবে, স্বামী সে যত নিকৃষ্টই হোক, যত অমানুষই হোক, যত অত্যাচারীই হোক; স্বামী তাকে তালাক দিলেও স্বামীকে ভালবাসবে; স্বামী অন্য কারও সঙ্গে বাস করলেও, অন্য কাউকে বিয়ে করলেও, নিজে কোনও সম্পর্কে জড়াবে না, নিজে আনন্দ করবে না, কেবল কাঁদবে, কেবল ত্যাগী হবে, ভোগী নয়, একা একা প্রাক্তন স্বামীকে ভালবেসে যাবে। সমাজ এটাই চায়। কিন্তু এই নারীবিদ্বেষী সমাজকে মেয়েদের খুশি করতে হবে কেন? এই সমাজকে জোরে চড় কষায় না কেন মেয়েরা? কেন ভালো মেয়ে হওয়ার জন্য আত্মমর্যাদাবোধ বিসর্জন দেয়, কেন শিরদাঁড়া বিকিয়ে দেয় সমাজের কাছে?
সঞ্জয় এবং করিশ্মা কাপুর ২০০৩ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং ২০১৬ সালের জুনে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়। ২০১০ সালে করিশ্মা তাঁর ছোট ছেলে কিয়ানের জন্মের সময় দিল্লি থেকে মুম্বইয়ের বাড়িতে চলে যান। ২০১৪ সালে, তাঁরা তাদের বিবাহিত জীবন শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করে। আর আইনিভাবে করিশ্মা ও সঞ্জয় আলাদা হন ২০১৬ সালে। করিশ্মা কাপুর ছিলেন সঞ্জয় কাপুরের দ্বিতীয় স্ত্রী।