পাবনার চাটমোহর উপজেলার বোঁথড় মৌজার জলাশয়ে জোরপূর্বক মাছ ধরার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তাদের বাধা দিতে গেলে উল্টো ভুক্তভোগীদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
কিন্তু ভুক্তভোগী জমির মালিকদের অভিযোগ, গত ৬ বছর ধরে আওয়ামীলীগ সরকারের ক্ষমতার প্রভাবে জমির মালিক বা মসজিদের কোনো টাকা না দিয়ে জোরপূর্বক মাছ ধরে আসছে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। জমির মালিকরা প্রতিবাদ করতে গেলে তারা কোনো টাকা দিতে পারবে না বলে জানায়। পারলে বাধা দিও বলে শাসায়। বাধা দিতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এমন পরিস্থিতিতে এলাকায় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি ভুক্তভোগী জমির মালিকদের। এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জমির মালিকরা।
অভিযুক্ত মানিক প্রামানিক বলেন, 'জোর করে মাছ ধরার অভিযোগ মিথ্যা। ওই জলাশয় যারা ইজারা নিয়েছেন তাদের সাথে আলোচনা করে সমন্বয় করেই আমরা মাছ ধরি। জমির মালিকদের টাকাও দিয়েছি। এর মাঝে শুধু এক বছরের টাকা দিতে পারিনি একটি মামলায় আমি জেলে থাকার কারণে। মসজিদে টাকা দেয়া হয়েছে সবার সাথে আলোচনার মাধ্যমে। এখন তারাই আমাদের জাল তুলে নিয়ে গেছে। মসজিদ কমিটি তো এসব সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। কাউকে হুমকি দেয়া হয়নি। আমরা সবার সাথে সমন্বয় করার চেষ্টা করছি।'
ধানকুনিয়া ইদগাহ জামে মসজিদের সভাপতি এস এম শাহজাহান বলেন, 'ওখানকার জলাশয়ের মাছ ধরার জন্য জমির মালিকরা কথা বলে মসজিদে বছরে ৬০ হাজার টাকা করে দিতেন। পরে জমির মালিকরা মাছ ধরাকারীদের কাছে তাদের নিজেদের অংশের টাকা দাবি করায় সেই দানের অংশ কমে আসে ৩০ হাজারে। কিন্তু গত ৩ বছর হলো মসজিদের ফান্ডে কোনো টাকা আসে না। তাদের দ্বন্দ্বের কারণে মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একটা দানের অংশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তারা চাইলে মসজিদ কমিটি সবার সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে সমন্বয় করে সমাধান করা যেতে পারে।'
এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেদুয়ানুল হালিম বলেন, 'অভিযোগের বিষয়টি আমি অবগত নই। অভিযোগ হাতে পাওয়ার পর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।'