ফেনীতে এক শিশুকে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপনের জন্য অপহরণ করে, পরে হত্যা করে। চারদিন পর শিশুটির লাশ ময়লার স্তুপে পাওয়া যায়।
ফেনী সদর উপজেলাধীন ধর্মপুর এলাকার দেওয়ানগঞ্জ এলাকায় ময়লা স্তুপের পিছনের পরিত্যক্ত বিল থেকে আহনাফ আল মায়িন নাশিদ (১০) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
ফেনী শহরের একাডেমীস্থ বিরিঞ্চি এলাকার মাইনউদ্দিন সোহাগের সন্তান নাশিদ গত রবিবার বিকালে প্রাইভেট শেষে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণের শিকার হয়। এরপর ভিকটিম নাশিদের পিতার কাছে বিভিন্ন মাধ্যমে ১২ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করে অপহরণকারীরা।
পরবর্তীতে ছেলের সংবাদ না পেয়ে পরদিনই ভিকটিমের পিতা সোহাগ ফেনী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
এরপর পিতা সোহাগের সন্দেহের ভিত্তিতে স্থানীয় তুষার নামে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয় স্বীকার করে।
বিকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মোঃ হাবিবুর রহমান জানায়, ঘুরার প্রলোভন দেখিয়ে নাশিদকে সিএনজি যোগে সালাউদ্দিনের মোড়ে একটি ঝাউ বাগান নিয়ে যায় ওয়াসিম ও তুষার। এরপর আরেক আসামী রিফাতের উপস্থিতিতে জুসের সাথে কূটকৌশলে ঘুমের ঔষধ খাওয়ায় অপহরণকারীরা।
পরবর্তীতে টাকা না পেয়ে অপহরণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশু নাশিদকে গলা টিপে হত্যা করে অভিযুক্ত ৩ আসামী। এরপর লাশ গোপন করতে তার স্কুল ব্যাগে রেললাইনের পাথর ভর্তি করে বিলের ভিতর (কচুরিপানায়) লুকিয়ে রাখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
এই ঘটনায় জড়িত থাকায় আশরাফ হোসেন তুষার, মোবারক হোসেন ওয়াসিম এবং ওমর ফারুক রিফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা একটি কিশোর গ্যাং এর সদস্য ও রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে নানা অপকর্ম করে থাকে বলে স্হানীয়রা জানায়।
যাযাদি/এস