শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২

সেলফি তুলতে গিয়ে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:০৭
সেলফি তুলতে গিয়ে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু
ছবি: যায়যায়দিন

বগুড়া ধুনট উপজেলায় যমুনার স্পারে ঘুরতে গিয়ে মোবাইলে সেলফি তোলার সময় নদীতে পড়ে জুনায়েদ রহমান (১৮) নিহত হয়েছে। নিহত শিক্ষার্থী জুনায়েদ রহমান শেরপুর পৌরসভার টাউন কলোনি এলাকার জাহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের (আরডিএ) উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যমুনা নদী থেকে ডুবুরির মাধ্যমে তার মরদেহ উদ্ধার করে। এর আগে শুক্রবার বিকেলে সেলফি তোলার সময় সে পড়ে যায় তাকে উদ্ধার করতে আরো ৩ বন্ধুও পানিতে পড়ে। এর মধ্যে স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গে তিনজনকে উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃতরা হলেন- শেরপুর টাউন কলোনি এলাকার আবুল কালামের ছেলে মফিজ ইকবাল (১৮), একই এলাকার সোলায়মান আলীর ছেলে রওফি হাসান (১৮) এবং গোলাম সরোয়ারের ছেলে গোলাম শোয়েব (১৮)।

স্থানীয় ও পরিবার সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে উপজেলার ভাণ্ডারবাড়ি ইউনিয়নের শিমুলবাড়ী বন্যা নিয়ন্ত্রণ স্পার এলাকায় তারা ঘুরতে যায়। বিকালে চার বন্ধু বানিয়াজন স্পারের নিচে যমুনা নদীতে নেমে সেলফি তুলছিলেন। এ সময় অসাবধানতাবশত জুনায়েদ রহমান নদীতে পড়ে ডুবে যান। তাকে উদ্ধার করতে আরো তিন বন্ধুও পানিতে পড়ে ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা তিনজনকে উদ্ধার করতে পারলেও নিখোঁজ হয় জুনায়েদ। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। রাত হয়ে যাওয়ায় নিখোঁজ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন। ধুনট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম বলেন, “নিখোঁজ শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে রাজশাহীর ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার ডুবুরিরা এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতি বছর যমুনায় ডুবে অনেকে মানুষ নিখোঁজ ও মারা যান। বগুড়ায় ডুবুরি না থাকায় রাজশাহী এবং রংপুর থেকে ডুবুরি এনে তাদের উদ্ধার করতে হয়। আর এতে প্রায় ১২ ঘণ্টা লেগে যায়। অনেক সময় লাশও পাওয়া যায় না। এলাকাবাসীর প্রানের দাবি ধুনট এবং সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনা নদীর পাশে ফায়ার সার্ভিসের ক্যাম্প করে ডুবুরি রাখা উচিত।

যাযাদি/ এমএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে