গাজীপুর সদর উপজেলায় গজারি বনের ভেতর থেকে রাসেল বেপারী (১২) নামে এক কিশোর চালকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সুজন ও সবুজ নামে দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনায় উদ্ধার করা হয়েছে চুরি যাওয়া অটোরিকশার বিভিন্ন অংশ। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহত রাসেল বেপারী রুদ্রপুর মধ্যপাড়ার বাসিন্দা এবং স্থানীয় মৃত. কাদির বেপারীর ছেলে। জীবিকার তাগিদে হোতাপাড়া-আরপিগেট সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাত।
জানা যায়, গত শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর আর বাড়ি ফেরেনি রাসেল। পরদিন শনিবার সকালে স্থানীয়রা তার লাশ বনের মধ্যে দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। পরে এঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এরপর বেরিয়ে আসে ভয়ংকর তথ্য। পুলিশের অভিযানে খোকনের বাড়ি থেকে রাসেলের চুরি যাওয়া অটোরিকশার কন্ট্রোলার, মোটর ও ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়। পরে তার সহযোগী সবুজ মিয়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সবুজ-কালো রঙের তিন চাকার অটোরিকশার মূল বডি।
জয়দেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হালিম বলেন, কিশোর রাসেল হত্যাকান্ডের ঘটনায় সুজন ও সবুজ নামে দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে করছি। গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামি সাব্বির হোসেন সুজন ও সবুজ মিয়া ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে আমাদের কাছে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের পেছনে আরও একটি চক্র কাজ করেছে। মূল রহস্য উদঘাটনে জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃতদের জামিন না দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, রাসেলের মতো অনেক কিশোরই জীবিকার তাগিদে অটোরিকশা চালায়। কিন্তু সংঘবদ্ধ চোরচক্র তাদের টার্গেট করছে। এই হত্যাকাণ্ডে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ভবিষ্যতে এধরণের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়। আর যে কোন মায়ের কোল খালি নায়। আমরা এই হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।
যাযাদি/ এমএস