পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে প্রজনন বীজ উৎপাদন কেন্দ্রে মৌসুমী শ্রমিক হিসেবে অনুমোদন পাওয়া ৬০ জন শ্রমিক কাজে যোগদানের দাবিতে অনশন শুরু করেছেন। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পরও নিয়োগ কার্যকর না হওয়ায় তারা আন্দোলনে নেমেছেন।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টার আগে শ্রমিকরা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। তাদের অভিযোগ, ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি কৃষি ইনস্টিটিউট থেকে মৌসুমী শ্রমিক হিসেবে কাজের অনুমতি পেলেও এখন পর্যন্ত যোগদানের সুযোগ পাননি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি শ্রমিক নিয়োগ ইস্যুতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। অভিযোগ উঠেছে, অনুমোদন পাওয়া শ্রমিকদের কাজে যোগদান করতে দিচ্ছে না অপর একটি দল, যারা প্রায় ৮০ জনের মতো। জামিরুল, বিষু মিয়া, মিলনসহ কয়েকজন শ্রমিকের দাবি, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাদের নিয়োগ ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।
রবিবার সকাল ৭টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অনুমোদিত শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা কেন্দ্রের সামনে জড়ো হয়েছেন। পরে তারা মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. অমল কুমার দাসের বাসভবনে যান, যিনি পরে তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. অমল কুমার দাস বলেন, "আমি যোগদান করাতে গেলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। আমার চাকরিও চলে যেতে পারে। এর আগে মারামারির ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে এখানে। আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েও কোনো সমাধান পাইনি। ২০১৩ সালে একই অর্ডার হলেও তখনো তারা যোগদান করতে পারেনি। এখন আমাকে চাপ দিচ্ছে।"
কেউ বাধা দিচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, "বিএনপি'র লোকজন বাধা দিচ্ছে। সফিকুল নামে একজন আছেন, তিনি এখানে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন এবং বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।"
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সফিকুল বলেন, "এখানে দলীয় প্রভাব খাটানো হয়নি। আমরা বঞ্চিত। স্বজনপ্রীতি করে এলাকার মানুষকে নিয়োগ না দিয়ে চিলাহাটি, টেপ্রীগঞ্জের মানুষকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই আমাদের নিয়োগ যেন দ্রুত দেওয়া হয়।"
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (দুপুর দেড়টা) বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় শ্রমিকরা তাদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখে।