জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের বিয়ালা বাজার এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে আত্মগোপনে থাকা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা ও বিস্ফোরক মামলার পলাতক আসামি তৌফিকুল ইসলাম তৌহিদকে স্থানীয় জনতারা আটক করে গণধোলাই দিয়ে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০ টার দিকে ডিবি পুলিশের হাতে সোপর্দ করে৷ এরপর ডিবির পুলিশ তাকে অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে গ্রেপ্তার দেখান।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবির) ওসি মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্থানীয়রা জানান, কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের বিয়ালা বাজারে শ্বশুর ফজলে এলাহি তোতার বাসায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে বিক্ষুব্ধ জনতা৷
কালাই পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর দাদে এলাহী লাবলু সাংবাদিকদের জানান, তৌফিকুল ইসলাম ছাত্রলীগের আহবায়ক ও কালাই পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার। তার বাবার মাত্র সাড়ে ৪ বিঘা সম্পত্তি। তারা চার ভাই, এক বোন৷ তিনি সব সময় বাদশাহী কায়দায় চলাফেরা করতেন। দুমাস পর পর একটি করে মোটরসাইকেল পাল্টাতেন। তার আয়ের উৎস কি? তার ব্যাংক ব্যালেন্স কোটি টাকার উপরে৷ স্বৈরাচারের দোসর ও ক্ষমতার দাম্ভিকতায় মানুষকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেছেন তিনি। আমরা তার বিচার চাই৷
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম জানান, তৌফিকুল ইসলাম তৌহিদের নামে সদর থানায় ও ডিবির কাছে পৃথক মামলা রয়েছে৷
জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবির (ওসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, তাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি পুলিশি হেফাজতে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। চিকিৎসা শেষে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হবে।
যাযাদি/ এমএস