শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

ফুলবাড়ীতে মন্দিরের দেবোত্তর সম্পত্তি দখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:৪২
ফুলবাড়ীতে মন্দিরের দেবোত্তর সম্পত্তি দখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
ছবি: যায়যায়দিন

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরের দেবোত্তর সম্পত্তি জবরদখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী ও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মানববন্ধন শেষে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্বরাষ্ট উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়, মন্দির কমিটির সদস্য ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শতাধিক মানুষ ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন করেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় কালি মন্দির থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বাজার প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন, মন্দির কমিটির সভাপতি জয় প্রকাশ গুপ্ত, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারান দত্ত। এসময় মন্দির কমিটি অন্য সদস্যরাসহ শতাধিক হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ফুলবাড়ী কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরের নামে উপজেলার ২নং আলাদিপুর ইউনিয়নের উত্তর রঘুনাথপুর মৌজায় ২৮৯/১৭৫ এবং ৬৫৫/৫৯৮ নং দাগে ২২২৯ নং দলিল মূলে মোট ২.৩৬ একর জমি রয়েছে। যা চাষাবাদের মাধ্যমে ভোগ দখল করে আসছিল মন্দির কমিটি। গত ৫ ফেব্রুয়ারি একই এলাকার মৃত মোতাহার হোসেনের ছেলে মো. আমিনুল ইসলাম লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে ওই জমি দখল করেন। এর আগেও তিনি জাল দলিল তৈরি করে জমি দখলের চেষ্টা করলে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে হাইকোর্টে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা (৮৩/১৯ পিজে) দায়ের করে মন্দির কমিটি, যা এখনও চলমান।

তারা আরও বলেন, ভূমিদস্যু আমিনুলের লাঠিয়াল বাহিনীর ভয়ে হিন্দুরা ওই জমিতে নামতে পারছে না। বেআইনিভাবে মন্দিরের দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করেছে। যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার শামিল। তাঁরা এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এবং দ্রুত দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে কথা বললে অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম অভিযোগ অস্বিকার করে নিজেকে বৈধ মালিক দাবি করে বলেন, বাপ-দাদার আমল থেকে বৈধ কাগজ পত্রের মাধ্যমে ওই জমি ভোগ দখল করে আসছি। দেশ স্বাধীনের পর থেকে তারা একাধিক মামলায় নিম্ন আদালত, উচ্চ আদালত এমনকি আপিলেও পরাজিত হয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে ২০১৩ সালে স্থানীয় এমপির লোকজন দিয়ে তারা জমি দখল করেন। আমরা সেই জমি উদ্ধার করেছি মাত্র।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ তমাল বলেন, স্মারকলিপি পেয়েিেছ, আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

যাযাদি/ এমএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে