তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে এক বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী ও শিশুসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। এব্যপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ আজিম সহ ৭ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন মো. কুদরত মন্ডল নামে এক ব্যবসায়ী।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের হাউলি কেউটিল কৃষ্ণতলা এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মো. কুদরত মন্ডল হাউলি কেউটিল কৃষ্ণতলা পৌর ১নং ওয়ার্ডের মৃত তোমেজ আলী মন্ডলের ছেলে ও গোয়ালন্দ পৌর জামতলা বাজারে মাংস ব্যনসায়ী। অভিযুক্তরা হলেন, চর বালিয়াকান্দি এলাকার মো. আজিজল ওরফ আইজ্জল (৫৫), নাবির (২৫), ফয়সাল (২৫), উরশু (২০), সুমন (২০), মওলা (৩৬) ও মো. আজিম (৩০)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কুদরত মন্ডলের গোয়ালন্দ পৌর জামতলা বাজারে একটি মাংসের দোকান রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শাহিন নামে এক যুবক তার দোকানের সামনে অটোরিকশা চালককে অন্যায়ভাবে অভিযুক্ত আজিজল থাপ্পড় মারে। কুদরত মন্ডল এর প্রতিবাদ করলে আজিজল তাকে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এর জের ধরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে অভিযুক্তরা লাঠিসোটা নিয়ে কুদরত মন্ডলের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। কুদরতের স্ত্রী ও দুই মেয়ে এতে আপত্তি জানালে হামলাকারীরা ঘরে ঢুকে তাদের মারধর করে। একপর্যায়ে আজিজল কাঠের লাঠি দিয়ে কুদরতের বড় মেয়েকে আঘাত করতে গেলে তার কোলে থাকা দেড় বছরের শিশুর গায়ে লাগে, এতে শিশুটি রক্তাক্ত জখম হয়।এসময় কুদরতের বড় মেয়ের গলা থেকে ১ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ও স্ত্রীর গলা থেকে দেড় ভরির চেইন ছিনিয়ে নেয় তারা। এছাড়া, ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছি এবং অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।